আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি (জাপা) জোটগতভাবে ৪৫টি আসন পেয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির বিশ্বস্ত কয়েকটি সূত্র।
Advertisement
অথচ সংবাদ সম্মেলন ডেকে সোমবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে জাপা মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘২০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করবে জাপা।’
সংবাদ সম্মেলনে আজ তাদের প্রার্থী ঘোষণার কথা থাকলেও ‘কৌশলগত কারণে’ তা করা হয়নি বলে জানান তিনি। এজন্য আরও সময় লাগবে বলেও উল্লেখ করেন রুহুল আমিন হাওলাদার। এ কৌশলকে ‘রাজনৈতিক প্রতারণা' বলে উল্লেখ করেন জাপার মনোনয়ন পাওয়া কয়েকজন প্রার্থী।
এদিকে জোটগতভাবে প্রাপ্ত ৪৫ জনকে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যেমন ঢাকা-৪ আসনে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, খুলনা-১ সুনীল শুভ রায়, লালমনিরহাট-১ মেজর অব. খালেদ আখতার, ঠাকুরগাঁও থেকে হাফিজউদ্দিন আহমেদ মহাজোটগত মনোনয়ন পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
Advertisement
অন্যদিকে ২০০ আসনে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দিচ্ছে জাপা। তবে দলীয় মনোনয়ন যাদের দেয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের স্বাক্ষর নিয়ে নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ চূড়ান্ত মনোনয়নের সময় ৪৫ জন ছাড়া বাকিরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য থাকবেন। এটাকে ‘রাজনৈতিক প্রতারণা’ হিসেবেই দেখছেন মনোনয়ন প্রত্যাহারের স্বাক্ষরকারীরা।
এমনই একজন হচ্ছেন বগুড়া-৫ আসন থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত তাজ মোহাম্মাদ শেখ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘মনোনয়ন আমাকে দেয়া হলো। কিন্তু দল যদি চায় আমি যেন প্রত্যাহার করি সে জন্য একটি স্বাক্ষরও নিয়ে রাখা হলো। এজন্য আমার ভয়টা কিন্তু থেকেই গেলো।’ এটাকে তিনি রাজনৈতিক প্রতারণা বলেই আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দল যদি তাকে প্রত্যাহার করতে বলে তিনি অবশ্যই মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন। তবে সেটি হবে রাজনৈতিক প্রতারণা।’
দল যদি চায় তাহলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করবে- এ মর্মে স্বাক্ষর করে আরও অনেকেই জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র পেয়েছেন। তাদের অনেকেই বলেছেন, দল যদি চায় তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন।
Advertisement
এমইউএইচ/এনডিএস/এমএস