অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজে দ্রুত লেনদেনের সুবিধা দিচ্ছে রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস)। ফলে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। চলতি বছরের অক্টোবরে তাৎক্ষণিক এ লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় পরিশোধ হয়েছে ৮৬ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে তাৎক্ষণিক লেনদেনের নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় আরটিজিএসে ১ লাখ ৪০৪টি লেনদেনের বিপরীতে পরিশোধ হয়েছে ৮৬ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। আগের মাস সেপ্টেম্বরে ৮৪ হাজার ৪৪২টি লেনদেনের পরিশোধ হয়েছিল ৬২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২৩ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সার্ভারে ত্রুটির কারণে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আরটিজিএসে লেনদেন কমে যায়। পরে লেনদেন বাড়াতে আগস্টে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ধারাবাহিকাতায় দীর্ঘদিন স্থবিরতার পর গত দুই মাস ধরে রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট বা আরটিজিএসে লেনদেনে গতি ফিরেছে।
তুলনামূলক কম খরচ ও তাৎক্ষণিক পরিশোধের সুযোগের ফলে অনলাইনে লেনদেন নিষ্পত্তির সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এখন আরটিজিএস। জানা গেছে, যেসব গ্রাহক অনলাইন ব্যাংকিংয়ে এক লাখ বা তার বেশি অংকের টাকা এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারছেন।
Advertisement
গত জানুয়ারিতে এ ব্যবস্থায় এক লাখ ১১ হাজার ৫৪৫টি লেনদেনের বিপরীতে মোট এক লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা পরিশোধ হয়। তবে মার্চে লেনদেন ব্যাপক কমে ৩০ হাজার ৪৭৩টি লেনদেনের বিপরীতে পরিশোধ হয় মাত্র ৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। গত জুলাইয়ে সার্ভারে ত্রুটি পুরোপুরি ঠিক হলেও এক ধরনের উদ্বেগ থেকে বড় লেনদেন নিষ্পত্তিতে অন্য ব্যবস্থা ব্যবহার করছিল ব্যাংকগুলো।
যেভাবে সম্পন্ন হয় আরটিজিএস:
কোনো একটি ব্যাংকের গ্রাহক তার নিজের একাউন্ট থেকে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগে জানাবে যে, তার একাউন্ট থেকে অন্য একটি ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাতে হবে। ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগ ওই পেমেন্ট অর্ডার বাংলাদেশ ব্যাংকের আরটিজিএসে পাঠানোর সাথে সাথেই সেই একাউন্টে ওই পরিমাণ টাকা জমা হয়ে যাবে।
এসআই/এমআরএম/আরআইপি
Advertisement