ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রক্রিয়া সহজ করতে এক ব্যক্তি কোম্পানি গঠনের বিধান রেখে ‘কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সংশোধিত আইনে মূলত একটি নতুন কনসেপ্ট নিয়ে আসা হয়েছে, সেটা হচ্ছে এক ব্যক্তি কোম্পানি। এক ব্যক্তি কোম্পানিটা আমাদের আইনে নেই, এটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে। এটাকে আইনের মধ্যে আনা হয়েছে।’
এক ব্যক্তি কোম্পানির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি কোম্পানি বলতে এক ব্যক্তি কর্তৃক গঠিত কোম্পানিকে বুঝানো হচ্ছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তিকে নিয়েও কোম্পানি গঠিত হতে পারে।
Advertisement
নতুন আইনে এক ব্যক্তি কোম্পানির বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘(প্রাইভেট কোম্পানির সংজ্ঞার ক্ষেত্রে) এক ব্যক্তি কোম্পানি ছাড়া এর সদস্য সংখ্যা কোম্পানির চাকরিতে নিযুক্ত ব্যক্তিরা বাদে ৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এতে প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে এক ব্যক্তি কোম্পানিও চলে আসবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোনো কোম্পানির এক বা একাধিক শেয়ারহোল্ডার হয়ে থাকেন, তাহলে তারা এই সংজ্ঞার উদ্দেশ্য পূরণে একজন সদস্য বলে গণ্য হবেন। প্রাইভেট কোম্পানির সংজ্ঞায় এই অংশটা ইনসার্ট করা হয়েছে।’
এক ব্যক্তি কোম্পানি যত জায়গায় প্রাসঙ্গিক নতুন আইনে তত জায়গায় এক ব্যক্তি কোম্পানি শব্দগুলো যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
কী কারণে এই সংশোধনী আনা হলো- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘আমরা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে (ব্যবসা প্রক্রিয়া সহজ করা) অনেক পেছনে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেস যাতে সহজতর হয় সেজন্য এটা করা হচ্ছে। আমরা ইনডেক্সে যেন আরও আগাতে পারি। এখন যেমন (ব্যবসা প্রক্রিয়া সহজ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সূচক) ১৭৬/১৭৭-এ আছি, সরকারের টার্গেট হলো- আগামী ৫ বছরের মধ্যে এটা ডাবল ডিজিটের মধ্যে নিয়ে আসা, ১০০-এর মধ্যে নিয়ে আসা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে লোকসংখ্যা হল ৫০ লাখ, সেখানে ১০ লাখ এরকম ছোট ছোট কোম্পানি (এক ব্যক্তি কোম্পানি) আছে।’
Advertisement
আরএমএম/এমবিআর/জেআইএম