রাজনীতি

চট্টগ্রামে পুরোনো মাঝিতেই আস্থা আ.লীগের, চমক শুধু নওফেল

রোববার সন্ধ্যার পরপরই পরিষ্কার হয়ে যায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনে কারা হচ্ছেন নৌকার মাঝি। এই ১৬ আসনের ১২টিতে এবার পুরোনো মাঝিদের হাতেই থাকছে নৌকার হাল। ৩টি আসনে ১৪ দল ও মহাজোটের পুরোনরা। পরিবর্তন শুধু একটিতে। নতুন চমক শুধু মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

Advertisement

যদিও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সবচেয়ে বেশি শঙ্কা ছিল কোতোয়ালী (চট্টগ্রাম-৯) আসনেই। শুরু থেকেই জোরেশোরে শোনা যাচ্ছিল কেউ মনোনয়ন পেলে তিনি হবেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কিন্তু এ সিদ্ধান্তটা নেয়া সহজ ছিলো না। কারণ এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু। কয়েক মাস আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ চট্টগ্রাম সফরে এসে বাবলুকে এ আসনে দল থেকে মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণাও দিয়ে গিয়েছিলেন।

এ ছাড়া দলের ভেতরে দুই প্রবীণ হেভিওয়েট প্রার্থী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি তো ছিলেনই। তবে দলীয় সূত্রে খবর, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে কোতোয়ালী আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর জন্য কক্সবাজার সদর আসনটি জন্য খালি রেখেছে আওয়ামী লীগ।

তাই এবার চট্টগ্রাম থেকে মহাজোট ভুক্ত দলগুলো পাচ্ছে ৩টি আসন। এ ৩টি আসনেও মনোনয়ন পাচ্ছেন বর্তমান সাংসদরাই। তারা হলেন- ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম-২) আসনে বর্তমান সংসদ বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। হাটহাজারী (চট্টগ্রাম-৫) আসনে বর্তমান সংসদ জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাসদ নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল।

Advertisement

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম-১৬) ও সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম-৪) আসনে পরিবর্তনের জোর গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আলোচনায় জোরেশোরেই এসেছিলেন সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। কিন্তু ডবলমুরিং (চট্টগ্রাম-১০) বা সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম-৪) কোথাও জায়গা হয়নি বিএনপির সাবেক এই মেয়রের।

চট্টগ্রামের ১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) মো. দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর-পাহাড়তলী) ডা. আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ার-কর্ণফুলী) সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) মোস্তাফিজুর রহমান।

এমবিআর/জেআইএম

Advertisement