আন্তর্জাতিক

বোরকা পরিয়ে পুনে নেয়া হয়েছিল কাসাবকে

ভারতের মুম্বাই হত্যা মামলার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজমল কাসাবের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফাঁসির আগে কাসাবকে নিয়ে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তারই ধারাবাহিকতায় ফাঁসি কার্যকরের আগের রাতে বোরকা পরিয়ে মুম্বই থেকে পুনের জেলে নেয়া হয় তাকে। সেখানেই ২০১২ সালের ২১ নভ্ম্বের তার ফাঁসি কার্যকর হয়।

Advertisement

মুম্বাই জঙ্গি হামলার ১০ বছর পূর্তিতে কাসাবের স্থানান্তর নিয়ে এমন গোপন তথ্যের কথা জানিয়েছেন মুম্বাই পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা। ফাঁসি কার্যকরের মাত্র একদিন আগে (২০ নভেম্বর ২০১২) মুম্বাই থেকে পুনে নেয়া হয় কাসাবকে। মুম্বাই থেকে পুনে যাত্রাপথ ছিল প্রায় তিন ঘণ্টার। স্পর্শকাতর এমন হস্তান্তর প্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ গোপন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ, সমন্বয় রক্ষা পুরোটাই কোড ল্যাঙ্গুয়েজ বা সাঙ্কেতিক শব্দবন্ধ।

মুম্বাই পুলিশের ওই কর্তা জানান, আর্থার রোড জেলের ‘আন্ডা সেল’ থেকে যাত্রা শুরুর আগেই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত সবার মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়া হয়। শুধুমাত্র দু’টি ওয়াকিটকি ছিল কাসাবের বহনকারী ভ্যানে। এ ছাড়া ‘ফোর্স ওয়ান’ কমান্ডাররা অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কাসাবের গাড়িতে ছিলেন। রাস্তায় কিছুটা পিছনে ‘ফলো’ করছিল মহারাষ্ট্র রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের গাড়ি। সন্দেহ এড়াতেই এমনটাই করা হয়েছিল।

ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় আরও বলা হয়, তিন ঘণ্টার রাস্তায় একটাও কথা বলেনি কাসাব। এমনকি আচার-ব্যবহারেও কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।

Advertisement

আরএস/জেআইএম