১০ বছর পর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আবারও লড়াই হবে আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি রমেশ চন্দ্র সেন ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। রোববার আ.লীগ থেকে রমেশ চন্দ্র সেনের মনোনয়ন নিশ্চিত করার পর এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় ভোটার। বিএনপি থেকে এ আসনে একমাত্র প্রার্থী দলটির মহাসচিব। সর্বশেষ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এই দুই প্রার্থী।
Advertisement
ওইবার ৫৬ হাজার ৬৯০ ভোট বেশি পেয়ে মির্জা ফখরুলকে পরাজিত করেন রমেশ চন্দ্র সেন। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে রমেশ চন্দ্র পেয়েছিলেন এক লাখ ৭৭ হাজার ১০১ ভোট। ধানের শীষ প্রতীকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পেয়েছিলেন এক লাখ ২০ হাজার ৪১১ ভোট।
এর আগে ২০০১ সালে ৮ম সংসদ নির্বাচনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধানের শীষ প্রতীকে ৩৭ হাজার ৯৬২ ভোট বেশি পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেনকে পরাজিত করেন। ওই নির্বাচনে ধানের র্শীষ পেয়েছিল এক লাখ ৩৪ হাজার ৯১০ ভোট। নৌকা পেয়েছিল ৯৬ হাজার ৯৪৮ ভোট।
১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে খাদেমুল ইসলাম পায় ৬২ হাজার ৭০৯ ভোট। বিএনপি থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম ধানের র্শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন ৫৮ হাজার ৩৬৯ ভোট। ব্যবধান ছিল মাত্র ৪ হাজার ৩৪০ ভোট। আলাদা নির্বাচন করে জামায়াতের রফিকুল পান ১৭ হাজার ২ শ ৪২ ভোট । তবে জামায়াতের সঙ্গে একত্রে হিসাব করলে আরও ১৪ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন মির্জা ফখরুল ।
Advertisement
তারও আগে ১৯৯১ সালে ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে খাদেমুল ইসলাম পান ৫৭ হাজার ৫৩৫ ভোট। বিএনপি থেকে মির্জা ফখরুল পেয়েছিলেন ৩৬ হাজার ৪০৬ ভোট। ব্যবধান ছিল ২১ হাজার ১২৯ ভোট। সেইবারও আলাদাভাবে নির্বাচন করে জামায়াত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পান ২৬ হাজার ৮০০ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী পান ২১ হাজার ৫০ ভোট।
আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ১০ বছর আগে হারিয়ে ফেলা আসনটি উদ্ধার করতে চান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তবে থেমে নেই আওয়ামী লীগও। সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও-১ আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ২১ হাজার ৬২২ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ৯৬ জন পুরুষ ২ লাখ ১১ হাজার ৫২৬ জন।
রবিউল এহসান রিপন/এমএএস/আরআইপি
Advertisement