দেশজুড়ে

৮ জন হত্যা মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ৭ জানুয়ারি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমা হামলায় বাসের ৮ জন যাত্রী হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি ফের পিছিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।

Advertisement

রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম শামছুল আলম রোববার দুপুরে এ আদেশ দেন। এর আগে এ মামলায় গত ১১ নভেম্বর কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক আবদুর রহিম শুনানির দিন ২৫ নভেম্বর ধার্য করেছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য রোববার ধার্য তারিখ ছিল। এ মামলায় জামিনপ্রাপ্ত অপর ১০ জন আসামি আদালতে হাজির না হয়ে রোববার আইনজীবীদের মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও জামিন শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু সাংবাদিকদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি রাষ্ট্রপক্ষের বারংবার সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত (রবিবার) তিন দফা পেছানো হয়েছে। আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি চতুর্থ দফায় শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এভাবে সময়ের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন শুনানি বিলম্বিত করছেন। এতে খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি নৈশকোচ চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর নামক স্থানে পৌছলে দুর্বৃত্তরা বাসটি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে ৭ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পর ১ জনসহ বাসের ৮ যাত্রী নিহত হন।

ওই ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। এ দুটি মামলায় ২ বছর ১ মাস তদন্ত ও পুলিশসহ ৬২ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের এসআই মো. ইব্রাহিম গত বছরের ৬ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মো. কামাল উদ্দিন/এমএএস/আরআইপি

Advertisement