জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে আবারো শুরু হয়েছে গ্রেফতার আতঙ্ক। গত কয়েক মাস গ্রেফতার-ধরপাকড় বন্ধ থাকলেও নতুন করে আবারো তা শুরু হয়েছে। ফলে বিএনপির পরবর্তী আন্দোলন সংগ্রামে এটি বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা। তবে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না বলেও মত দিয়েছেন দলের অনেক নেতা। বিএনপি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত মাসে ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসানকে আটক করে পরবর্তীতে কয়েকটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি সরকার বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে অব্যাহতভাবে গ্রেফতার করছে বলেও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথের সামারাই কনভেনশন সেন্টারে ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম তুলে ধরতে আদর্শ ঢাকা আন্দোলন আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিতে গেলে সংগঠনের সদস্য সচিব ও দলের চেয়াপারসনের উপদেষ্টা সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে আটক করা হয়। পরে গাড়ি পোড়ানোসহ তিন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। একই দিন গাড়ি পোড়ানো মামলায় কুমিল্লার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সূত্র জানায়, বিএনপি যখন দল গুছিয়ে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছে তখনই এই দুই নেতাকে গ্রেফতার করায় হতাশ হয়ে পড়েছে দলের অনেকই। তবে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে সরকার বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না বলেও মত দিয়েছেন অনেক নেতা। এ বিষয়ে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবিক অর্থে সেটা ভিন্ন। ভিন্নমত দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। অবশ্য বিএনপির মূখপাত্রের দায়িত্বে থাকা দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এমকে আনোয়ার ও শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এমএম/এএইচ/পিআর
Advertisement