নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বলেছেন, ‘আপনাদের আদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে গুলি চালানো বা এই ধরনের কোনো কাজের ক্ষেত্রে আপনাদের জুলিশিয়াল মাইন্ড অ্যাপ্লাই করতে হবে। পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে গুলি করার আদেশ দেবেন।’
Advertisement
রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দ্বিতীয় দিনের ব্রিফিংয়ের এসব কথা বলেন তিনি।
শাহাদাত হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যারা নিয়োজিত থাকবেন- তারা আপনাদের আদেশেই যদি গুলি চালানোর প্রয়োজন হয়, সেটি করবেন। সুতরাং আপনারা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মতামত দেবেন বা যারা আপনাদের আদেশে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ আনতে গুলি চালানো বা এই ধরনের কোনো কাজ করবেন সেক্ষেত্রে আপনাদের জুলিশিয়াল মাইন্ড অ্যাপ্লাই করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই প্রতিটি ভোটার যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এবং ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন।
Advertisement
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, এমন এক মুহূর্তে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি যখন সারাদেশ, জাতি আসন্ন এই নির্বাচনটির দিকে তাকিয়ে আছে। শুধু জাতি নয়, সারাবিশ্ব আমাদের এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়। সেই অর্থে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন চায়- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেনো একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং আইনানুগ একটা নির্বাচন যেন আমরা অনুষ্ঠান করতে পারি। এরকম নির্বাচন অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের পেশাগত যোগ্যতার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে, আপনারা নিরপেক্ষ এবং অত্যন্ত যোগ্য আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ।
তিনি বলেন, আচরণবিধি যেন যথাযথভাবে পালিত হয়, সকল প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হেবে। এই নির্বাচন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আপনাদের একমদই নিরপেক্ষ থাকতে হবে। নির্বাচনটা হতে হবে আইনানুগ।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে, এই নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করছে। যেহেতু সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে এখানে কোনো রকম প্রতিহিংসার কোনো রকম সুযোগ না থাকে। আপনারা আপনাদের ওপর অর্পিত যে দায়িত্ব, কর্তব্য- সেটা পালনের ক্ষেত্রে এই প্রতিহিংসাটাকে বন্ধ করতে হবে।
আপনারা আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সাহসিকতার সাথে পালন করতে হবে। কর্তব্য পালনে সবসময় আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা পাশে থাকবো। সুতরাং নির্ভিকভাবেই আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে যোগ করেন তিনি।
Advertisement
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা, ২ ডিসেম্বর বাছাই ও ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে।
এইচএস/এমবিআর/পিআর