খেলাধুলা

নাঈম-তাইজুলের সেই জুটিটিই কি জেতাল ম্যাচ!

ম্যাচের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক জানিয়েছিলেন, প্রথম ইনিংসে টেলএন্ডারদের করা রানেই জিতবে বাংলাদেশ। তখন হয়তো শেষের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ের বাহবাস্বরুপই এমন বলেছিলেন মুমিনুল। কিন্তু ম্যাচ শেষে দেখা গেল ঠিক ওই রানেই জিতেছে স্বাগতিকরা।

Advertisement

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু পরে ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন ও সাকিব আল হাসানের সাথে তিনটি ভিন্ন জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপটা সামাল দিয়েছিলেন কক্সবাজারের ছেলে মুমিনুল। করেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি।

কিন্তু ২২২ রানের মাথায় মুমিনুল ফিরে যাওয়ার পরে আবারও একটা বিপর্যয় ঘটে ইনিংসে। ১৩ রানের মধ্যে চার উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে ২৫৯ রানের মাথায়। সেখান থেকে দলীয় ইনিংসকে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব অভিষিক্ত অফস্পিনার নাঈম হাসান ও বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের।

দুজন মিলে কাটিয়ে দেন প্রথম দিনের শেষ বিকেলটা। অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৫৬ রানের জুটি গড়ে। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মুমিনুল। বলে যান, 'আমার কাছে টেলএন্ডাররা যেই রান করেছে, সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। হয়তো এই রানের কারণেই আমরা ম্যাচ জিততে পারি, যদি আল্লাহর রহমতে ম্যাচ জিতি।'

Advertisement

এই জুটি ৫৬ রানেই থেমে যায়নি। দ্বিতীয় দিন সকালে আরও ৯ রান যোগ করে নবম উইকেট জুটিটাকে ৬৫ রানে পরিণত করেন তাইজুল ও নাঈম। আর এরপরে হওয়া দুই দলের স্পিনঘূর্ণিতে আড়াইদিনেই শেষ ম্যাচ। স্কোরকার্ড বলছে ৬৪ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। যেখানে নবম উইকেটে ৬৫ রান যোগ করেছিলেন নাঈম ও তাইজুল।

অর্থাৎ মুমিনুলের বলা সেই কথা ফলে গেছে অক্ষরে অক্ষরে। দুই টেলএন্ডারের করা রানেই ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এ দুই টেলএন্ডার শুধু ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও বাংলাদেশের জয়ের নায়ক। কেননা প্রথম ইনিংসে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নিয়ে ৭৮ রানের লিড এনে দিয়েছিলেন নাঈম। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়টা নিশ্চিত করেছেন তাইজুলই।

এসএএস/এমএমআর/এমএস

Advertisement