স্বল্প সময়ে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে ইউএস-বাংলার দিগন্ত। আগামী বছরের শুরুতে সংস্থাটির বহরে অত্যাধুনিক আরও পাঁচটি উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে। বহরে এসব উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার পর সেগুলো দিয়ে চেন্নাই, কলম্বো ও মালে রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি বাড়ানো হবে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা।
Advertisement
বর্তমানে ৭টি উড়োজাহাজ দিয়ে সাত দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে দেশের শীর্ষ বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা। ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে নতুন পাঁচটি উড়োজাহাজ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র ও মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের যাত্রা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং সেগুলো দিয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মাসকট, দোহা, চীনের গুয়াংজু এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। চার বছরে ইউএস-বাংলা দেশে-বিদেশে ৫১ হাজার ফ্লাইট চালিয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, নতুন বছরের শুরুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বহরে আরও ৫টি উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে। এগুলো ভারতের চেন্নাই, শ্রীলঙ্কার কলম্বো ও মালদ্বীপের মালে রুটে চলবে।
ইউএস-বাংলা উন্নত যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তার বিষয়ে প্রাধান্য দিয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উড্ডয়নের আগে নিয়মানুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করা হয়। কোনো প্রকার ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট পাইলট উড়োজাহাজ পরিচালনা থেকে বিরত থাকেন।
ইউএস-বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নতুন রুটে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য কানেকটিভিটি বাড়ানো। বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশিরা পৃথিবীর অনেক দেশেই যাচ্ছেন। এ জন্য বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সে চড়েন তারা। আবার বিদেশিরাও নানা কারণে বাংলাদেশে আসছেন। সুতরাং সুযোগ থাকলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলোর বিচরণ দরকার। এতে দেশে শিল্প বাণিজ্য ও পর্যটনের বিকাশ ঘটবে।
তিনি বলেন, ইউএস-বাংলা নিয়মিত ট্যাক্স-সারচার্জ পরিশোধ করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সহায়তা করছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে দেশের সুনাম বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে করছে আরও সূদৃঢ়।
Advertisement
উল্লেখ্য, ইউএস-বাংলার টিকিট সংগ্রহ করার জন্য রয়েছে অনলাইন বুকিং সুবিধা। রয়েছে হোম ডেলিভারি সুবিধাও। সারাদেশে নিজস্ব ৩০টি সেলস অফিস রয়েছে। এছাড়া কাঠমান্ডু, কলকাতা, মাস্কাট, দোহা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, কানাডা, নিউইয়র্কে নিজস্ব সেলস অফিস আছে। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য রয়েছে স্কাইস্টার প্যাকেজ। যার মাধ্যমে যাত্রীরা শুধু টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রেই নয় বরং বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পণ্য ক্রয়ে মূল্য ছাড়ের সুবিধাও পাবেন।
আরএম/এমএমজেড/জেএইচ