টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিমান বাহিনীর প্রশক্ষিণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলট উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দীপুর (৪৩) জন্মস্থান পাবনার ঈশ্বরদীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
Advertisement
একমাত্র ছেলে সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় দীপুর বিধবা মা বিউটি বেগম (৬০)। দীপুর স্ত্রী অন্তরা (৩৬), ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ঈষিতা (১০) ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে ঈশানের (৮) কান্না যেন থামছেই না। দীপুর বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার শেরশাহ রোডে।
নিহত পাইলট দীপুর ভগ্নিপতি সাংবাদিক আখতারুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর শহরের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারী ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বিশ্বাস ও গৃহিণী বিউটি বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে আরিফ আহমেদ দীপু। শৈশব থেকেই দীপু ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। মেধার যোগ্যতায় ক্যাডেট কলেজ থেকে পাস করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে জিডি পাইলট হিসেবে যোগদান করেন তিনি। বিমান বাহিনীতে যোগদানের পর থেকে নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা আর মেধার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হন দীপু। যার ফলে ১৯৯৯ সালে বিমান বাহিনীর সোর্ড অব অনার পদক লাভ করেন তিনি । বর্তমানে তিনি বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে পাবনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা ও অরণখোলা ইউনিয়নের পাহাড় কাঞ্চনপুর বিমান ঘাঁটির টেলকি ফায়ারিং জোনের ২২ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মহড়ার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের এফ ৭ পিজি যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানটির পাইলট উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দীপু নিহত হন।
Advertisement
আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/জেএইচ