খেলাধুলা

কলিন্দ্রেস নয় নায়ক সানডে

আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের ফাইনালে ব্যক্তিগত লড়াইটা হবে দুই দলের দুই বিদেশির। একজন আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে, অন্যজন বসুন্ধরা কিংসের কোস্টারিকান প্লেমেকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস। ফাইনালের আগে দুই জনেরই ছিল হ্যাটট্রিকসহ চারটি করে গোল। এ দুই বিদেশিই গড়ে দেবেন ফাইনালের ভাগ্য- ম্যাচের আগে সেটাই ছিল ফুটবলপ্রেমীদের মুখেমুখে। হয়েছেও তাই।

Advertisement

তবে রাশিয়া বিশ্বকাপে কোস্টারিকার জার্সি গায়ে দুই ম্যাচ খেলা কলিন্দ্রেস নয়, ফেডারেশন কাপের ফাইনালের নায়ক আবাহনীর ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়া সানডে। জোড়া গোল করে তিনি আবাহনীর শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। পুরস্কার পেয়েছেন টুর্নামেন্টসেরারও।

২১ মিনিটে বসুন্ধরা কিংসকে এগিয়ে দিয়ে কলিন্দ্রেসই নায়ক হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন; কিন্তু আবাহনীর যে একজন সানডে আছেন তা দেখাতে বেশি সময় নেননি এ নাইজেরিয়ান। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ২৫ সেকেন্ডের মাথায় সানডে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ৫ গজ দূরত্বে থেকে বল ক্রসবারে মেরে। আবাহনী গ্যালারিতে তখন হতাশা- কুফা লাগলো নাতো? সানডে এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে ৫ মিনিটের বেশি সময় নেননি।

রায়হান হাসানের থ্রো পোস্টের সামনে পড়লে গোল করলে আবাহনীকে ম্যাচে ফেরান সানডে। ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। ৮২ মিনিটে হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড গোল করে আবাহনীকে জয়ের পথে এগিয়ে দিলেও আসল কাজটি তার আগেই করেছেন সানডে।

Advertisement

টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন, হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬ গোল)। বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কলিন্দ্রেসকে হটিয়ে তিনি হয়েছেন ফেডারেশন কাপের নায়ক। পুরো টুর্নামেন্টের নায়ক।

ফাইনালসেরা হয়েছেন আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা। দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। সানডের দ্বিতীয় গোলটি ছিল সোহেল রানার বানিয়ে দেয়া। মাঝমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় বসুন্ধরা কিংসের বক্সে ঢুকে বাড়িয়ে দেন ফাঁকায় দাঁড়ানো সানডেকে। সানডে কোনো ভুল করেননি- দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে বল জড়িয়ে দেন বসুন্ধরার জালে।

আরআই/আইএইচএস/পিআর

Advertisement