খেলাধুলা

শেষ বাঁশি বাজার পরই গ্যালারির সমর্থকরা মাঠে

সেমিফাইনালের পরও হয়েছিল। শেখ জামালের বিরুদ্ধে আবাহনীর জয়ের পর পশ্চিম গ্যালারি থেকে দলটির শতশত সমর্থক ফেন্সিং টপকে ঢুকে পড়ে মাঠে। ওই দিনের ঘটনায় কানে পানি যায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। যে কারণে ফাইনাল শেষে মাঠই ভরে যায় দর্শকে।

Advertisement

এমনিতেই উত্তেজনায় টইটুম্বুর ছিল ফাইনাল। দুই দলের খেলোয়াড়রা নির্লজ্জভাবে মারামারি করেছেন। তাও হাতাহাতি নয়, রীতিমতো লাথি, ফ্লাইং কিক। তখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল আয়োজকদের। বাড়ানো উচিত ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কিন্তু বাফুফে সে ব্যবস্থা না নেয়ায় বানের পানির মতো দর্শক মাঠে ঢুকে পড়ে। দর্শক বললে ভুল হবে- সবাই আবাহনীর সমর্থক। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ আর উত্তেজনায় মুহুর্তেই গ্যালারি খালি করে তারা ভরিয়ে দেয় মাঠ।

তখনো দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো দূর্ঘনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তেমন কিছু ঘটেনি। তবে বাফুফে ফেডারেশন কাপের ফাইনালের ঘটনা থেকে শিক্ষা না নিলে ভবিষ্যতে বিপদ আসতেও পারে। কারণ, এবার শিরোপা প্রত্যাশি দল বেশি বলে উত্তেজনার আগুন থাকবে অনেক ম্যাচে। সেটা লিগ হোক বা টুর্নামেন্টের।

Advertisement

কয়েক হাজার দর্শক-সমর্থক মাঠে ঢুকে পড়ায় ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান করতে বেগ পেতে হয়েছে বাফুফেকে। মাইকে পুরস্কার মঞ্চের আশপাশ খালি করার অনুরোধ করলেও তা কেউ শুনেনি। যারা ফেন্সিং টপকে পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে মাঠে ঢুকতে পারে তারা মাইকের ঘোষণা থোড়াই কেয়ার করবে সেটাই স্বাভাকিব। দর্শক-সমর্থকদের মাঠে ঢোকার দৃশ্য বেশ উপভোগ করেছে পুলিশ সদস্যরা। একজন দর্শককে থামানোর উদ্যোগও চোখে পড়েনি তাদের।

দেখুন ভিডিও

আরআই/আইএইচএস/পিআর

Advertisement