দেশজুড়ে

‘অভিনয় করে কীভাবে মানুষকে বোকা বানাতে হয় তা জানি’

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, নির্বাচন এসেছে। অনেক প্রার্থী এসে অভিনয় করে ভোট ভিক্ষা চাইবে। কিন্তু আমি অভিনয় করে ভোট ভিক্ষা চাইতে পারবো না। আর অভিনয় যদি করতে হয় আমার চেয়ে ভালো অভিনয় কেউ করতে পারবে না। আমি জানি অভিনয় করে কীভাবে মানুষকে বোকা বানাতে হয়। আমি মানুষকে বোকা বানাতে চাই না, আমি এলাকার উন্নয়ন করতে চাই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আপনারা আমার চেয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন। বুঝি শুনে ভালো ব্যক্তিকে ভোট দিবেন। কারো অভিনয়ে কাবু হবেন না।

তিনি আরও বলেন, এখনো সময় আছে ঘুম থেকে উঠে সত্যের পথে চলেন। প্রতীকের দিয়ে না তাকিয়ে ব্যক্তিকে যাচাই-বাচাই করে নির্বাচনে ভোট দিবেন। আমি আপনাদের চোখে খারাপ হলে আমাকে ভোট দিবেন না। ভালো হলে আমার পক্ষে আপনারা কাজ করবেন। আপনাদের এলাকার জনপ্রতিনিধি যদি খারাপ হয় তাহলে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ বাড়বে এবং এলাকার উন্নয়ন হবে না। তাই এমন ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধি করতে হবে যে উন্নয়ন করবে। আপনাদের ভালো মন্দের প্রার্থক্য বুঝতে হবে।

Advertisement

শামীম ওসমান বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্থান বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা আমাদের ভাইদের হাত বেঁধে তাদের মা-বোনের ইজ্জত লুটে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কেন আমাকে ভোট চাইতে হবে। যারা পাক বাহিনীর সাথে আঁতাত করে এদেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে তাদের বিপক্ষে কেন নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে হবে। এখনও সময় আছে আমাদের দেশের যুবক ও মা বোনেরা সত্যের পথে ফিরে আসেন।

তিনি বৃহস্পতিবার সকাল হতে রাত ৯টা পর্যন্ত ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইর হতে শুরু করে পশ্চিম মাসদাইর, বারৈইভোগ, শাসনগাও ভাঙ্গা ক্লাব, পঞ্চবটির চাঁদনী হাউজিং, মুসলিমনগর, নবীনগর, ধর্মগঞ্জ, হরিহরপাড়া ও আমতলা এলাকায় উঠান বৈঠক করেন। এতে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বিএনপির সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী। তিনি শামীম ওসমানের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সস্পাদক শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এমএ মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শাহাদাত হোসেন/আরএআর/জেআইএম

Advertisement