জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী হওয়া টেস্ট ম্যাচে রান বন্যায় ভেসেছিল অংশগ্রহণকারী দুই দল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বাংলাদেশের মুমিনুল হক। দলীয় সংগ্রহেও দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ করেছিল ৮২০ রান (৫১৩/১০+৩০৭/৫ ডিক্লে)। এক ইনিংস ব্যাট করে ৭১৩ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছিল সফরকারীরাও। ম্যাড়ম্যাড়ে ও নিষ্প্রাণ উইকেটের কারণে এই মাঠের সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছিল ওই ম্যাচের পরে।
Advertisement
যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগেই ধারণা করা হয়েছিল উইকেটে বদল আসবে অনেক। যা কি-না ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। উইকেটে এমন বদল বা বৈচিত্রই এসেছে এ উইকেটের প্রতি কোনো বিশ্বাস রাখতে পারছেন না টাইগারদের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল।
জানুয়ারিতে জোড়া সেঞ্চুরি করা মুমিনুল এ মাঠে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন। খেলেছেন ১২০ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তবু উইকেটের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তমূলক মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে উইকেটের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে মুমিনুল বলেন, ‘অন্য উইকেটের তুলনায় এটা একটু স্লো আছে, টার্ন আছে। আগে যখন খেলেছিলাম তখন অনেক ফ্ল্যাট ছিল, তেমন স্পিন হতো না। এখানে বল ঘুরে, নিচেও নামে।’
Advertisement
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩১৫। ৩ উইকেটে ২২২ থেকে হুট করেই ৭ উইকেটে ২৩৫, আবার তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের ব্যাটে চড়ে সেখান থেকে ৮ উইকেটে ৩১৫। এমনই ঘটনাবহুল ছিল দিনের শেষ সেশনটা। দ্বিতীয় দিন সকালে কত রান করতে চায় বাংলাদেশ?
উত্তরে মুমিনুল বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই যে কত রান করতে চাই। তাইজুল ও নাঈম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ওরা যতক্ষণ খেলতে পারে ততক্ষণই। সত্যি কথা বলতে, এই উইকেটের ওপর আমার তেমন বিশ্বাস নেই। কাল পরশু কি হবে জানি না, দেখা যাক।’
স্বাগতিক দলের ক্রিকেটার মুমিনুল পারেননি উইকেটকে বিশ্বাস করতে। সফরকারী দল কেমন দেখল ম্যাচের উইকেট? উত্তর পাওয়া গেছে সংবাদ সম্মেলনে আসা ক্যারিবীয়ান বাঁ-হাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের কাছে।
তিনি বলেন, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। তবে স্পিনারদের জন্যও অনেক কিছু রয়েছে এখানে। আমার মনে হয় ভালো জায়গায় বোলিং করলে স্পিনাররা এখান থেকে ভালো সুবিধা পাবে। কারণ বল ব্যাটসম্যানের কাছে ভালো ভাবে আসলেও বাউন্সটা বোঝা কঠিন। দেখে শুনে না খেললে বিপদ অবশ্যম্ভাবী।’
Advertisement
এসএএস/আইএইচএস/পিআর