খেলাধুলা

গতির কাছেই কুপোকাত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা

চা পানের বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ছিলো ৩ উইকেটে ২১৬ রান। সেঞ্চুরি করে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন মুমিনুল হক। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রত্যাশা ছিলো প্রথম দিনের শেষ সেশনটাও নিজেদের করে নেয়ার। কিন্তু!

Advertisement

কিন্তু বিরতি থেকে ফিরেই ভোজবাজির মতো দৃশ্যপট বদলে দেন ক্যারিবিয়ান পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। মাত্র তিন ওভারের মধ্যে তিনি সাজঘরে পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের শেষ চার স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।

৩ উইকেটে ২২২ থেকে ক্ষণিকের মধ্যেই ৭ উইকেটে ২৩৫ রানের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। চার জনের মধ্যে মুমিনুল ব্যতীত বাকি তিনজনই পরাস্ত হন গ্যাব্রিয়েলের গতির কাছে। যিনি সারাদিন গড়পড়তা ১৪০ কি.মি. ঘণ্টায় বোলিং করেছেন। তার গতির তারতম্য বুঝতে না পেরেই নিজেদের উইকেট হারিয়েছেন সাকিব, মুশফিক ও মাহমুউল্লাহ।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে গ্যাব্রিয়েলের গতির কথাই স্মরণ করিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় শ্যাননের গতিই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সে অনেক লম্বা। তাই তার উচ্চতার সাথে গতিটাও বড় একটা নিয়ামক। এছাড়া সে ভালো জায়গায় বোলিং করে। এমন যে শুধু গতির ঝড়ই তোলে শ্যানন। গতির সাথে মাপা লাইন লেন্থে বোলিংটাই তার মূল শক্তি।’

Advertisement

বাংলাদেশ দল নিজেদের সেরা একাদশে চার স্পিনার নেয়ার পরে ধরেই নেয়া হয়েছিল যে উইকেট পুরোটাই হবে স্পিন স্বর্গ। কিন্তু দিন শেষে স্কোরকার্ড বলছে ক্যারিবীয়ান পেসারের কাছেই কুপোকাত হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাহলে উইকেটের আচরণটা আসলে কেমন?

উত্তরে ওয়ারিকান বলেন, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। তবে স্পিনারদের জন্যও অনেক কিছু রয়েছে এখানে। আমার মনে হয় ভালো জায়গায় বোলিং করলে স্পিনাররা এখান থেকে ভালো সুবিধা পাবে। কারণ বল ব্যাটসম্যানের কাছে ভালো ভাবে আসলেও বাউন্সটা বোঝা কঠিন। দেখে শুনে না খেললে বিপদ অবশ্যম্ভাবী।’

এ সময় নিজেদের ব্যাটিংয়ের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানান ওয়ারিকান। কারণ সাকিব আল হাসানসহ চারজন স্পিনার রয়েছে বাংলাদেশের একাদশে। এ কারণে ব্যাটিংটা খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বাঁ-হাতি এ স্পিনার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংটা খুব চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। কারণ প্রথম দিন থেকেই উইকেটে টার্ন দেখা যাচ্ছে। ম্যাচে যত সময় গড়াবে উইকেট আরও কঠিন হতে থাকবে। তাই আমাদের আগামীকাল (ম্যাচের দ্বিতীয় দিন) করণীয় হলো যত দ্রুত সম্ভব ওদের অলআউট করা। এখানে ব্যাটিংয়ে ভালো করার মূল শর্ত হলো রক্ষণে বিশ্বাস করতে হবে। কারণে ওদের দলে খুব ভালো স্পিনার রয়েছে।’

Advertisement

এসএএস/আইএইচএস/জেআইএম