কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ফাইনালেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আবাহনী। গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ জাকারিয়া বাবু বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে ফাইনালপূর্ব মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, স্বাভাবিক নিয়মেই আবাহনী আবাহনীর জায়গায় চলে এসেছে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের জন্য তার দল শতভাগ প্রস্তুত। খেলোয়াড়দের উপর তার আত্মবিশ্বাস অগাধ।
Advertisement
প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংস প্রসঙ্গে জাকারিয়া বাবু বলেছেন, ‘খেলা মানেই একটা প্রতিপক্ষ থাকে। তেমনি এবার প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংসা। আমরা এ দলটিকেও অন্য প্রতিপক্ষের মতো ভাবছি। আলাদা কোনো চিন্তা নেই। আমরা স্বাভাবিক নিয়মেই খেলবো।’
বসুন্ধরা কিংসের প্রধান অস্ত্র বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান ড্যানিয়ের কলিন্দ্রেস। ফাইনালের অন্যতম সেরা আকর্ষণও এ ফরোয়ার্ড। কিন্তু জাকারিয়া বাবুর আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই কলিন্দ্রেসকে নিয়ে। ‘তার উপর আমার কোনো বিশেষ নজর নেই। আগের ম্যাচগুলোতে খেলোয়াড়রা যেভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছে, আশা করি ফাইনালেও সেভাবে করতে পারবে’-কলিন্দ্রেস প্রসঙ্গে আবাহনীর কোচ।
চ্যাম্পিয়ন হলে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ। তাইতো এবারের ফেডারেশন কাপের ফাইনাল বাড়তি গুরুত্ব দুই দলের সামনেই। জাকারিয়া বাবু অবশ্য আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথাই মাথায় রেখেছেন, ‘এএফসি কাপ নিয়ে চিন্তা করার সময় আছে। আগে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। আবাহনীর প্রধান টার্গেটই থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আশা করি এবারও শিরোপা জিততে পারবো।’
Advertisement
ফাইনাল মানেই অন্যরকম চাপ। মাঠে যেমন চাপে থাকেন খেলোয়াড়রা, কম থাকে না ডাগআউটে কোচেরও। কিন্তু আবাহনী কোচ আগে ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে উল্লেখ করে বলেন, ‘২০১১ সালে বিজেএমসিকে ফাইনালে তুলেছিলাম। কোচ হিসেবে ঘরোয়া আসরে এটা আমার দ্বিতীয় ফাইনাল। আশা করি এবার সফল হবো।’
অধিনায়ক শহিদুল আলম সোহেলও আগের ম্যাচগুলোর ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরতে আশাবাদী, ‘বরাবরের মতোই আমাদের আরেকটি ফাইনালে। আমিও অনেক ফাইনাল খেলেছি। গত ১০ বছরে আবাহনীর অনেক শিরোপা জয়ের সদস্য ছিলাম। শুক্রবারের ফাইনাল নিয়ে আমাদের ঘাবড়ানোর কোনো কিছু নেই। প্রতিপক্ষ কে সেটা বিষয় না। আমাদের ফোকাস থাকবে বলে।’
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement