দেশজুড়ে

মেয়ের পাশে শায়িত হবেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের স্ত্রী

বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী মোছা. ফজিলাতুন্নেছাকে গ্রামের বাড়ি ধুড়িয়ায় মেয়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার বাদ আসর তৃতীয় জানাজা শেষে সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ধুড়িয়া গ্রামে দাফন করা হবে তাকে।

Advertisement

ফজিলাতুন্নেছার নাতিজামাই মুন্সী আসাদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিজিবি সদর দফতরে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখান থেকে সড়ক পথে মরদেহ এনে নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামের বাসভবনে রাখা হবে। বাদ আছর মরদেহ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে নেয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নেয়া হবে সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ধুড়িয়া গ্রামে।

স্বামী নূর মোহাম্মদ শেখের দুটি বিবাহ থাকার কারণে ফজিলাতুন্নেছা তার সন্তানদের নিয়ে ধুড়িয়া গ্রামের বাড়িতে বাস করতেন। এই পুরনো বাড়িতেই ফজিলাতুন্নেছার একটি মেয়ের কবর রয়েছে। সেই কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে তাকে।

মুন্সী আসাদুর রহমান জানান, ধুড়িয়া গ্রামের বাড়ির জমিটি মাসজিদ ও মাদরাসায় দান করে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। তার নানি শাশুড়ি মৃত্যুর আগেই ওসিয়ত করে গিয়েছিলেন যেন গ্রামের বাড়িতে তার মেয়ের কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, স্বামী নূর মোহাম্মদের জন্মস্থান পার্শ্ববর্তী মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমান নাম নূর মোহাম্মদ নগর)। ১৯৬৪ সালে ফজিলাতুন্নেছার সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন মেয়ে। বর্তমানে দুটি মেয়ে বেঁচে আছেন।

গত ২৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামের বাসায় ডায়াবেটিস, কোমরের ব্যাথা ও বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফজিলাতুন্নেছা। পরে ২৭ অক্টোবর অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার পিলখানায় বিজিবির হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

হাফিজুল নিলু/এফএ/আরআইপি

Advertisement