দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জের ৬১ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি

ধীরে ধীরে কমে আসছে সিরাজগঞ্জ জেলার আবাদি জমি। এসব জমির উপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা, বাড়ি-ঘর তৈরি, নদীর ভাঙনসহ নানা কারণে এই আবাদি জমির পরিমাণ কমে আসছে। প্রতি বছরই শত শত হেক্টর জমি আবাদের বাইরে চলে যাচ্ছে। যে কারণে জেলার কৃষি সামগ্রী উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। তবে নানা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পূর্বের তুলনায় একই পরিমাণ জমি থেকে একাধিক ফসলসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষে কাজ করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক ওমর আলী শেখ জানান, জেলায় বর্তমানে আবাদি ও অনাবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ ৪৩ হাজার হেক্টর।  এর মধ্যে ১ লক্ষ ৮২ হাজার হেক্টর জমিতে বর্তমানে চাষাবাদ হচ্ছে। বাকি জমি অনাবাদি। দিন দিন জমি আবাদের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রতিবছর দশমিক ৭ ভাগ জমি অনবাদি হচ্ছে। তবে গত ৫ বছর আগে যে পরিমাণ জমি অনাবাদি হতো তা বর্তমানে অনেকাংশে কমে এসেছে। আবাদি জমির উপর বসত বাড়ি নির্মাণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, নতুন রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, নদী ভাঙনের ফলে আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমছে। তবে বসত ভিটা তৈরির কারণেই জমি অনাবাদি হয়েছে বেশি। একই সাথে চলন বিল অঞ্চলে বিবাদমান জমি নিয়ে দু`পক্ষের বিরোধের কারণে অনেক জমি বছরের পর বছর পরে থাকায় সেখানে চাষাবাদ না করায় জমি অনবাদি রয়ে যাচ্ছে।বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার আবাদি জমিগুলোতে বছরের বিভিন্ন সময়ে আমন, আউশ, বোরো, কাউন, সরিষা, আখ, পাট, রসুন, পেয়াজ, কাঁচামরিচ, গম, ভুট্টা, বাদাম, কলা, তরমুজ, বাঙ্গী, বিভিন্ন প্রকারের কাঁচা সবজিসহ নানা ধরনের চাষাবাদ করা হয়।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সারা বছরই কৃষকদের নানাবিধ পরামর্শ দিয়ে আসছে। যেটুকু জমি রয়েছে, সেটুকু জমিতেই ভালোভাবে চাষাবাদ করে অন্তত অনাবাদি জমির ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায়।এমএএস/এমআরআই

Advertisement