জার্মানিতে কর্মক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দিতে একটি নতুন অভিবাসন আইন বাস্তবায়নের পথে অনেকটাই এগিয়েছে সরকার। তবে এই আইনে কিছু ফাঁক রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
জার্মানিতে নার্স, সেবাকর্মী, নির্মাণ শ্রমিক, ছুতার, ইলেকট্রিশিয়ান এবং আইটি বিশেষজ্ঞের অভাব রয়েছে। এই অভাব পূরণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে অন্যান্য দেশ থেকে জার্মানিতে কর্মী নেয়ার কথা ভাবছে দেশটির সরকার।
বর্তমানে জার্মানিতে বেকারের সংখ্যা ২২ লাখ।অ্যাসোসিয়েশন অব জার্মান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি ডিআইএইচকে’র মুখপাত্র স্টেফান হার্ডেগে বলেছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ৬০ শতাংশই দক্ষ কর্মীর সংকটে ভুগছে এবং এই হার বাড়ছে।
স্যুড ডয়চে সাইটুং পত্রিকা মঙ্গলবার নতুন অভিবাসন আইনের খসড়ার কিছু অংশ প্রকাশ করেছে। খসড়া আইনটি ম্যার্কেলের মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে এই বছরের শেষ নাগাদ।
Advertisement
আরও পড়ুন> ‘ইউরোপের পতিতালয় জার্মানি’
খসড়া প্রস্তাবে কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে: ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকরা কেবল তখনই জার্মানিতে কাজ করতে পারবেন, যখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জার্মানিতে তেমন দক্ষ কর্মী একেবারেই পাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, নতুন এই আইন অনুযায়ী, যাদের কাজের দক্ষতার প্রমাণ বা অনুমোদন রয়েছে এবং জার্মানিতে কাজ করার চুক্তিপত্র থাকবে, তারাই শুধু এই দেশে কাজের অনুমতি পাবেন।
এ ছাড়া খসড়া প্রস্তাবে ৬ মাসের জন্য কোনো ব্যক্তিকে জার্মানিতে এসে নিজের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ দেয়ার কথা রয়েছে। এই ৬ মাস জার্মানিতে থেকে কাজ খুঁজে নেয়ার সুযোগ থাকবে কোনো ব্যক্তির। তিনি নির্দিষ্ট কোনো একটি খাতে কাজ করতে পারেন বা ফ্রি-ল্যান্স কাজ করতে পারেন। তবে তাকে অবশ্যই জার্মান ভাষা শিখে আসতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আইনে বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেয়ার কথা বলা হলেও, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা এত সহজ হবে না। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
Advertisement
আইনজীবী বেটিনা ওফের বলেন, কেবল নতুন আইন পরিবর্তন করলেই হবে না। সেই সঙ্গে ভিসা প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় সামান্য কিছু কারণে অনেক দক্ষ কর্মীর ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সূত্র: ডিডাব্লিউ/এমআরএম/পিআর