ওয়েস্ট ইন্ডিজের খণ্ডকালীন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেও পেরিয়ে গিয়েছিল লম্বা সময়। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সবাই অপেক্ষায় কখন আসবেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাইরে গিয়ে মাঠে উঁকি দিতে দেখা গেল মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামকে সাথে নিয়ে মাঠের ঠিক বিপরীত প্রান্ত থেকে ধীর পায়ে আসছেন সাকিব।
Advertisement
অনুশীলনের নেট থেকে সংবাদ সম্মেলন কক্ষের দূরত্ব একশ গজেরও বেশি। লম্বা এ পথ পাড়ি দিতে মাঠটাই ব্যবহার করলেন টাইগার অধিনায়ক। ফাঁকে এক নজরে চোখ বুলিয়ে নিলেন আগামীকালের ম্যাচ উইকেটের দিকে। কয়েক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে কিছু ভাবলেন, ফের হাঁটা ধরলেন সোজা পথে।
অবধারিতই ছিলো সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ককে মুখোমুখি হতে হবে উইকেটের ব্যাপারে নানাবিদ প্রশ্নের। দেশের 'হোম অব ক্রিকেট' মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে অভিযোগের অন্ত থাকে না বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। ঘরের মাঠের হোম এডভান্টেজ তো পাওয়া হয়ই না, মাঝেমধ্যেই হয় উল্টোটা। স্বাগতিক হয়েও ভুগতে হয় উইকেটের রহস্যময় চরিত্রের কারণে।
সে তুলনায় টাইগাররা বেশ পরিচিত চট্টলার সাগরিকার উইকেটের সাথে। স্পোর্টিং উইকেটে সমান সুবিধা পাবেন বোলার-ব্যাটসম্যানরা। টেস্ট ক্রিকেটে দিন গড়ানোর সাথে সাথে দেখা মিলবে নতুনত্বের, এমনটাই হয়ে থাকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট।
Advertisement
তবে এ মাঠে হওয়া সবশেষ টেস্টে উইকেট ছিলো বড্ড ম্যাড়ম্যাড়ে ও নিষ্প্রাণ। সবশেষ বার জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল এ মাঠে। ওই ম্যাচে রান বন্যায় ভেসেছিল অংশগ্রহণকারী দুই দল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বাংলাদেশের মুমিনুল হক। দলীয় সংগ্রহেও দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ করেছিল ৮২০ রান (৫১৩/১০ এবং ৩০৭/৫ ডিক্লে)। এক ইনিংস ব্যাট করে ৭১৩ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছিল সফরকারিরাও। ম্যাড়ম্যাড়ে ও নিষ্প্রাণ উইকেটের কারণে এই মাঠের সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছিল সে ম্যাচের পরে।
ডিমেরিট থেকে মুক্তি পেতে কিংবা দুই দলের লড়াইটা উপভোগ্য করে তুলতেই নিষ্প্রাণ উইকেটে প্রাণ ফিরিয়ে আনা হয়েছে, এমনটাই পর্যবেক্ষণ স্বাগতিক দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। তিনি নিজে যতটুকু দেখেছেন, তাতে তার কাছে মনে হয়েছে সাগরিকার উইকেটে স্পিন থাকবে। তবে উইকেটের ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য করতে চাননি টাইগার অধিনায়ক।
সাকিব বলেন, 'আমার মনে হয় কিউরেটররা ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করছেন। উইকেট নিয়ে আসলে খুব বেশি কথা বলার নেই। দুই দলের সমান সুযোগ থাকবে। আমার কাছে (এখন পর্যন্ত) মনে হচ্ছে উইকেটে বল ঘুরতে পারে। আসলে দেখে খুব একটা অনুমান করা যায় না। যত দিন যায় অনেক সময় উইকেট আস্তে আস্তে আরও ভালো হতে থাকে। আশা করি তেমন কিছু হবে না। ভালো একটা টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য যেমন উইকেট দরকার, তেমন উইকেটই হবে।'
Advertisement
এসএএস/এমএমআর/পিআর