চলতি বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট দল খেলে ফেলেছে ৬টি টেস্ট ম্যাচ। যার মধ্যে মাত্র দুটি খেলতে পেরেছিলেন সাকিব। বাকি চার ম্যাচে দলের সেরা অস্ত্রকে ছাড়াই খেলতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের। সাকিবের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। সে তুলনায় বোলিং নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হয়নি টাইগারদের।
Advertisement
কারণ সাকিব না থাকলেও ছিলেন অন্য দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। তাইজুলের বাঁ-হাতি অর্থোডক্স ও মিরাজের ডানহাতি অফস্পিনে বোলিং সমস্যা বেশ ভালোভাবেই পুষিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। ঠিক কতোটা পুষিয়েছে তা জানতে চোখ রাখা যাক পরিসংখ্যানে।
এ বছর খেলা ছয় টেস্টে বাংলাদেশ দল প্রতিপক্ষের উইকেট নিতে পেরেছে ৯৭টি। এর মধ্যে ৮ উইকেট গেছে সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে। বাকি ৮৯ উইকেটের মধ্যে ৫৯টি উইকেটই নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাইজুল ও মিরাজ। অর্থাৎ দলের সেরা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিটা অন্তত বোলিংয়ে বুঝতে দেননি দুই তরুণ স্পিনার।
শুধু এটুকুতেই শেষ নয়। এ বছর এখনও পর্যন্ত ৫টি টেস্ট খেলে ৩৩টি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। যা কি-না এক বছরে বাংলাদেশের পক্ষে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে একটি মাত্র উইকেট নিতে পারলেই তাইজুল ভেঙে দেবেন ২০০৩ সালে মোহাম্মদ রফিকের এক বছরে ৩৩ উইকেট নেয়ার রেকর্ড। কম যাননি মিরাজও। এ বছর তার ঝুলিতে রয়েছে ২৬টি উইকেট। যা কি-না এক বছরে বাংলাদেশের পক্ষে পঞ্চম সর্বোচ্চ।
Advertisement
সাকিব না থাকা অবস্থাতেও দুই স্পিনারের এমন পারফরম্যান্স স্বস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্টকে। স্বস্তি পেয়েছেন সাকিব নিজেও। তিনি বিশ্বাস করছেন তাইজুল ও মিরাজ-উভয়েরই সামর্থ্য রয়েছে একা হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার। নিজেদের বোলিং দিয়েই অধিনায়কের এ আস্থা জিতে নিয়েছেন মিরাজ ও তাইজুল।
বুধবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘ওরা দুইজনই (মিরাজ ও তাইজুল) ইতোমধ্যে অনেক ম্যাচ খেলে ফেলেছে এবং বেশ অভিজ্ঞও ওরা এখন। ওদের নামের পাশে অনেক উইকেটও আছে। ওরা এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও সেই সামর্থ্যও আছে, যে কোন একজনই হয়তো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাইজুল খুবই ভালো বল করেছে, অনেক গুলো উইকেট পেয়েছে। মিরাজও অনেক সুন্দর বোলিং করছে।’
তাইজুল-মিরাজের প্রশংসা করতে গিয়ে স্কোয়াডের আরেক স্পিনার, ১৭ বছর বয়সী নাঈম হাসানের কথাও মনে করিয়ে দেন সাকিব। প্রায় ছয় ফুট উচ্চতার এ অফ স্পিনারের ব্যাপারেও আশাবাদী টাইগার অধিনায়ক। আর এ তিন স্পিনারের সাথে নিজেসহ গড়া টাইগারদের স্পিন আক্রমণের ব্যাপারে বাড়তি কোনো চিন্তা নেই সাকিবের।
‘এছাড়া নাঈম যে আছে, আমার কাছে মনে ও অনেক সম্ভাবনাময়। আমার কাছে মনে হয় আমাদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে খুব বেশি টেনশন করার মত জায়গা নেই, কারণ সবাই যেহেতু খুবই অ্যাটাকিং বোলার, উইকেট টেকিং বোলারই বলব আমি। যারা আছে সবাই আক্রমণাত্মক বোলিং করতে পারে।’
Advertisement
এসএএস/আইএইচএস/পিআর