এশিয়া কাপের মাঝপথেই হাতের ইনজুরির কারণে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। তখন তার ইনজুরিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছিল নানা ধোঁয়াশা। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন আগামী বছর হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপও খেলতে পারবেন না হয়তো তিনি।
Advertisement
সে সব কথাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে এশিয়া কাপের মাস দুয়েকের মধ্যেই মাঠে ফিরেছেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে ফিরে স্বাভাবিকভাবেই পেয়েছেন নিজের অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড। সর্বশেষ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেই টেস্ট খেলেছিলেন সাকিব। সেটি ছিলো তাদের ঘরের মাঠে।
এবার নিজের মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই খেলতে নামবেন সাকিব, এমনটাই জানা ছিলো সবার; কিন্তু বুধবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিজেই জানালেন ভিন্ন তথ্য। এখনো তিনি নিশ্চিত নন আসলেই চট্টগ্রাম টেস্টে খেলবেন কি-না।
সাকিবের খেলাকে ঘিরে এ অনিশ্চয়তা অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। কেননা মাঠে ফিরে এখনও পর্যন্ত কেবল চারটি সেশন অনুশীলন করতে পেরেছেন তিনি, যার দুইটিই ছিলো ঐচ্ছিক। এতো অল্প অনুশীলন নিয়ে পাঁচদিনের টেস্ট ক্রিকেটের চাপ নেয়াটা খুব একটা সহজ নয়। যা স্বীকার করেছেন সাকিব নিজেও।
Advertisement
হাতের অবস্থা পুরোপুরি ভালো হলেও, মাত্রই ইনজুরি থেকে ফিরে শুরুতেই পাঁচদিনের ধকল নেয়ার মত অবস্থায় পৌঁছেছেন কি-না? এমন প্রশ্নেই সন্দিহান বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। তার খেলার ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি, অপেক্ষা করা হবে একদম শেষমুহূর্ত পর্যন্ত।
সাকিব বলেন, ‘হাত এখন আলহামদুলিল্লাহ পুরোপুরি ভালো। ইনজুরি থেকে ফিরে শুরুতে ওয়ানডে পেলে ভালো হতো। মাত্রই সুস্থ হয়ে পাঁচ দিন খেলাটা কতটা চ্যালেঞ্জের হবে এটা আমরা সবাই জানি। এই কারণে এখনো একটু হলেও সন্দেহ আছে যে, ওই অবস্থানে আমি এখনো পৌঁছতে পেরেছি কি-না। কারণ আমি মাত্র চারটি সেশন ট্রেনিং করেছি। এর ভেতরে দুটি সেশন ছিল ঐচ্ছিক। দেখা যাক আমার খেলার ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত আসলে অপেক্ষা করতে হবে।’
টাইগার অধিনায়ক যদি শেষ পর্যন্ত খেলতে না পারেন তাহলে আর কথাই থাকে না, আরও একটি ম্যাচ হবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধীনে। আর সাকিব যদি খেলতে পারেন, তাহলে পূরণ হতে পারে একটি মাইলফলক। এখনো পর্যন্ত ১৯৬ উইকেট নেয়া সাকিবের সামনে রয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দুইশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার হাতছানি।
আর মাত্র চারটি উইকেট হলেই হয়ে যাবে এ কাজ। সাকিব নিজে কি ভাবছেন এ ব্যাপারে? উত্তরে বরাবরের মতোই নির্লিপ্ত বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। একটি অর্জন হবে ভেবে তেমন কোনো উদ্দীপনা নেই তার। তবে একবার হয়ে গেলে উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ দেখা যেতেও পারে বলে জানান সাকিব।
Advertisement
‘এটা তো তেমন কিছু না। কয়েকটা টেস্ট খেললে তো দুইশ টেস্ট উইকেট হয়েই যাবে। এটা খুব বড় ব্যাপার না। হয়ে যাওয়ার পরে হয়তো এক্সাইটমেন্ট আসতে পারে’ - বলেন সাকিব।
এসএএস/আইএইচএস/আরআইপি