তিন মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ১০৭ দিন পর কারামুক্ত হলেন এই আলোকচিত্রী। মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে তিনি কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন তার আইনজীবী জায়েদুর রহমান।
Advertisement
জায়েদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিননামা গ্রহণ করেন। জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেন।
এর আগে ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রমনা থানায় দায়ের করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় শহিদুল আলমের জামিন মঞ্জুর করেন।
৬ আগস্ট জামিন নামঞ্জুর করে শহিদুল আলমকে সাতদিনের রিমান্ড দেন আদালত। ৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুলকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পরিচয়ে একদল লোক। এরপর তাকে রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
Advertisement
ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ‘কল্পনাপ্রসূত তথ্যের’ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানো, উসকানিমূলক তথ্য উপস্থাপন, সরকারকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর’ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি ঘটিয়ে’ জনমনে ‘ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে’ দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ‘অপপ্রচারের’ অভিযোগ আনা হয় আলোকচিত্রী শহিদুলের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৩ ও ৪ আগস্ট জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল আলম। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।
জেএ/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement