ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটিতে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। আর এ বিবাদ থেকে সৃষ্টি হয় বড় ধরনের ঝামেলা। এমনকি দেশেও পাঠানো হয়ে থাকে। কোট-কাচারি থেকে শুরু করে জেল-জরিমানাও হয়ে থাকে।
Advertisement
দেশটিতে দোভাসী হিসেবে কাজ করছে অলিউদ্দীন শামীম। তিনি জানান, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনি বিদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। বাঙালিদের মধ্যে কোনো প্রকার ঝামেলা সৃষ্টি হলে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সহজে মামলাও হচ্ছে। এ কারণে তিনি বিবৃতি দিয়ে প্রবাসীদের ভালোভাবে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ দোভাসী জানান, এর আগে ইতালিতে প্রবাসীদের ভেতর ঝগড়া কিংবা ঝামেলা হলে সহজেই মীমাংসা করা যেত। এমনকি আইনের আশ্রয় নিলেও কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু দেশটিতে নতুন এ আইন বাস্তবায়ন হওয়ার পর তুচ্ছ ঘটনাতে জেল জরিমানা হতে পারে।
‘এর আগে আমি নিজে দোভাসী হিসেবে নিকটস্থ থানায় গিয়ে উভয় পক্ষের হয়ে সমাধান করে দিতাম। বর্তমানে এসব তুচ্ছ বিষয় চলে যাচ্ছে ওপর মহলে। যে কারণে প্রবাসীদের ভালোর জন্যই নোটিশ করেছি।’
Advertisement
তিনি আরও জানান, বিশেষ করে আমার দৃষ্টিগোচর হচ্ছে চাকরির সুবাদে মাঝে মাঝে বাংলাদেশি কমিউনিটির ইন্টারপ্রেটারের কাজে স্থানীয় প্রশাসন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ইতালির পক্ষ থেকে আমাকে ডাকে। উভয়ের সঙ্গে কথা বলে বিষগুলো সমাধান করে দিতাম। নতুন এ আইন হওয়াতে সবকিছুই দিনে দিনে কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
‘কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির স্থানীয় প্রশাসন। এ ছাড়া পূর্বের প্রশাসন মামলা নিতে গড়িমশি করত কিন্তু বর্তমান প্রশাসন মামলা নিতে খুব বেশি আগ্রহী। যারা অবৈধ অভিবাসী তাদের সঠিক বাসস্থান ও চলাফেরার স্থান জানতে পুলিশ প্রশাসন খুব বেশি তৎপর। ফলে প্রশাসনের মনোভাবে বোঝা যায় তারা যেকোন অজুহাতে অবৈধ অভিবাসীদেরকে গ্রেফতার করে নিজ নিজ দেশে পাঠাতে পায়তারা করছে।’
তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি। প্রত্যেকেই দেশের দূত হিসেবে কাজে-কর্মে বিদেশের মাটিতে দেশের মান অক্ষুন্ন রাখব। অথচ আমরা নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে ব্যস্ত। এজন্য আমি সবাইকে সতর্কভাবে চলাফেরা করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। অন্যথায় বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনির হাত থেকে রক্ষা পাবেন না।
এমআরএম/পিআর
Advertisement