কক্সবাজার শহরের একটি হোটেল থেকে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হোটেল সাগরগাঁওয়ের ৩১৬ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসন থেকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল তার। ইতোমধ্যে মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দিয়েছিলেন তিনি।
হোটেল সাগরগাঁওয়ের ব্যবস্থাপক রহিম উল্লাহর শ্যালক শাহেদুল ইসলাম বলেন, রহিম উল্লাহ মাঝে মধ্যে হোটেল সাগরগাঁওয়ে এসে রাত যাপন করতেন। সোমবার রাতেও এসে হোটেলের চারতলার ৩১৬ নম্বর কক্ষে ঘুমাতে যান। নিয়মিত তিনি সকালে হোটেলের বয়দের ফোন করে নাস্তা আনাতেন। কিন্তু মঙ্গলবার তা করেননি তিনি।
দুপুর ২টা পর্যন্ত ঘুম থেকে না উঠায় হোটেল বয়রা কয়েকবার গিয়ে দরজা ধাক্কা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে আমি এসে দরজা ধাক্কা দিয়ে সাড়া-শব্দ না পেয়ে ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি- জিএম রহিম উল্লাহ উপুড় হয়ে শুয়ে আছেন। এরপর বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এবারের নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন রহিম উল্লাহ।
Advertisement
কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। যেহেতু তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক দলের জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল তাই মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। কিন্তু তার পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি চেয়েছেন। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে জিএম রহিম উল্লাহর জন্ম। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন এই জামায়াত নেতা।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর
Advertisement