মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমিকবান্ধব দেশ ওমান। দেশটিতে প্রায় আট লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন। শাসক সুলতান কাবুস বিন সাঈদ। তিনি দীর্ঘ ৪৭ বছর ওমানে ক্ষমতায় আছেন। শান্তিপ্রিয় দেশগুলোর মধ্যে ওমান ১০ নম্বরে অবস্থান করছে।
Advertisement
১৮ নভেম্বর ওমানের জন্য একটি বিশেষ দিন। এটি ওমানিদের প্রিয় নেতার জন্ম তারিখ। সকল ওমানি তার নিজের বাবার মতো সম্মান করে থাকেন ওমানের রাষ্ট্রপ্রধান সুলতান কাবুস বিন সাঈদকে। প্রতি বছর এদিনকে কেন্দ্র করে একমাস আগেই ওমানের প্রধান প্রধান সড়কগুলো বিভিন্ন রঙে ঝাড়বাতি ও লাখো পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। একটা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান কতটা জনপ্রিয় হলে তার দেশের জনগণ এতটা ভালোবাসতে পারে এর অনন্য উদাহরণ ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাঈদ।
৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে ওমান একটি স্বাধীন ইসলামিক দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও ১৬ শতকের দিকে ওমান পর্তুগিজ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এরপর ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজ বাহিনীকে পরাজিত করে ওমান আবার তার স্বাধীনতা ফিরে পায়। ওমানের প্রথম সুলতান তুর্কি বিন সাঈদ। এরপর ফায়সাল বিন সাঈদ, তাইমুর বিন ফায়সাল, এরপরে সাঈদ বিন সুলতান থেকে সাঈদ বিন তাইমুর ক্ষমতা লাভ করে।
সবশেষে বর্তমান শাসক সুলতান কাবুস বিন সাঈদ আল সাঈদ। যিনি ওমানের বিগত ৫ শাসকদের মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় ও দীর্ঘ ৪৮ বছর যাবত সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করছেন। ৭৮ বছর বয়সী সুলতান কাবুস তার নিজ দেশকে নিয়ে গেছেন উন্নতির চরম শিখরে। ওমানে যদিও ১২ তলার ওপর বিল্ডিং চোখে পড়ে না। এরপরও তাদের রাস্তাঘাট, নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে যে কেউই মুগ্ধ না হয়ে পারে না।
Advertisement
ওমান বাংলাদেশের একটি বন্ধুপ্রতিম দেশ। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে এমন কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা বলেন, ওমান আমাদের জন্য সেকেন্ড হোম, ওমানিরা ও বাংলাদেশিদের জন্য বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। অন্যান্য দেশের থেকে ওমানিরা বাংলাদেশিদের বেশ সমীহ করে। দেশটি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধশীল হলেও ইদানিং কৃষি ও ট্যুরিজমের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে।
এমআরএম/পিআর