১১টি পলিথিনের প্যাকেট। প্যাকেটগুলোর ওজন ১১০০ কেজি। প্রথম দেখায় যে কারো মনে হবে প্যাকেটের ভেতর হয়তো চামড়া ছাড়ানো আস্ত ছাগল রয়েছে। কিন্তু ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগলো না; কারণ নিরাপত্তাকর্মীরা প্যাকেটগুলো তল্লাশির পর বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। এই ১১টি প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হলো ১১০০ কেজি কুকুরের মাংস।
Advertisement
ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, চেন্নাইয়ের এগমোর রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে ১১টি পলিথিনের প্যাকেটে ভরিয়ে কুকুরের মাংসগুলো হোটেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। শনিবার রেলওয়ের কামরা থেকে কয়েকজনকে মাংসের প্যাকেট নামাতে দেখেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরপিএফ) সদস্যরা। পরে সন্দেহ থেকে প্যাকেটগুলো তল্লাশি করে আরপিএফ।
ওইদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে পার্সেল ভ্যানটি প্লাটফর্মে আসে। এসময় প্ল্যাটফর্মে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা বেশ কয়েকজন নিজেদের গ্রাহক বলে দাবি করেন এবং সেগুলো একটি ট্রলিতে তোলেন।
আরও পড়ুন : যে কাঁকড়ার রক্তের লিটার ১১ লাখ টাকা!
Advertisement
আরপিএফের উপপরিদর্শক এস কৃষ্ণের সন্দেহ হওয়ায় প্যাকেটগুলো খুলে মাংস বাইরে বের করতে বলেন। চেন্নাইয়ের খাদ্য ও চিকিৎসা দফতর এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাংসগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরমাঝেই প্যাকেটগুলোর গ্রাহক বলে দাবিকারীরা অবস্থা বেগতিক বুঝে মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়েন।
কর্মকর্তারা মাংস পরীক্ষা করতে গিয়ে চমকে যান। শুধু চামরা ছাড়ানো অবস্থায় সেগুলো প্যাকেটজাত করে নিয়ে আসা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা দফতরের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের ধারণা প্যাকেটগুলো চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যেখানে এগুলো ‘রাজস্থান মিট’ বলে চালানো হতে পারে। চেন্নাইয়ে রাজস্থান মিটের দাম তুলনামূলক কম।
আরও পড়ুন : এবার স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়ে নেশা করছে মানুষ!
কর্মকর্তারা জানান, চেন্নাইয়ের এগমোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আটককৃত প্যাকেটের মাংস আসলে কুকুরের। কিন্তু কোথায় থেকে এসব কুকুর জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর পর আনা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্যাকেট থেকে উদ্ধার কুকুরের চামড়া ছাড়ানো থাকলেও মাথা ছিল না।
Advertisement
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মাংসগুলো কুকুরের। লেজ রয়েছে এবং মাথা নেই। শরীরের গঠনও কুকুরের। এসব মাংস আটক করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহের জন্য এসব আনা হয়েছিল বলে তাদের ধারণা। পুরো মাংসের ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি।
এসআইএস/জেআইএম