মতামত

সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে

আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো ব্যস্ত। দুএকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে প্রার্থী মনোনয়ন। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কমিশনকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Advertisement

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড একটি বহুল আলোচিত বিষয়। সব প্রার্থী যেন সমান অধিকার ভোগ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, স্থানীয় প্রশাসন, ভোটার ও সমর্থকদের দায়িত্ব রয়েছে। প্রধান দায়িত্ব অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের।

শুধু নির্বাচন কমিশনের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

নির্বাচনের সময়টি অত্যন্ত নাজুক। এই সময়ে নানা অপগোষ্ঠী তৎপর থাকে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের। ফলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি বেড়ে যায়। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যে কোনো মূল্যে জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়েও দেখা দেয় অসন্তোষ। সব দলেই এই অসন্তোষ বিরাজমান। কাজেই মনোনয়ন ঘোষণার এই সময়টাতে যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

নির্বাচন আমাদের দেশে উৎসব। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলে সেটি নিশ্চিত করাটাও নির্বাচন কমিশনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা। এবার সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বও কম নয়। আশরা আশা করবো একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া হবে।

এইচআর/জেআইএম

Advertisement