কক্সবাজারের টেকনাফ ও কুতুবদিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় এক লাখ পিস ইয়াবা, দুটি অস্ত্র ও আট রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বলে দাবি র্যাবের।
Advertisement
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের কেরুনতলী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র্যাবের গুলি বিনিময়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ পিস ইয়াবা, দুটি অস্ত্র, আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।’
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা এলাকার মো. আবদুল হামিদের ছেলে আশিক জাহাঙ্গীর কুদরত (৩২) ও নারায়ণগঞ্জের তোলাবুরো মসজিদ এলাকার আবদুল বারেকের ছেলে আরিফ হোসেন (৩০)।
মেজর মেহেদী হাসান আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার ভোরে কুতুবদিয়ায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যু দিদারুল ইসলাম (৩২) নিহত হয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু। এ সময় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে সাতটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি ও নয়টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। তার নামে কুতুবদিয়া ও মহেশখালী থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে।’
Advertisement
নিহত দিদারুল ইসলাম ওরফে দিদার (৩২) কুতুবদিয়ার লেমশিখালী ইউনিয়নের উত্তর আমজাখালী করলাপাড়া এলাকার মৃত ইউসুফ নবীর ছেলে। তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান মেজর মেহেদী হাসান।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/এএম/জেআইএম