ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম হওয়া জাহিদ হাসান আকাশ পুনঃভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি।
Advertisement
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে প্রথম হওয়ার অভিযোগ ছিল। যিনি তখন ‘ঘ’ ইউনিটে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ১২০ এর মধ্যে ১১৪ দশমিক ৩০ নম্বর পেয়েছিলেন। কিন্তু ফেল করেছিলেন নিজ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়।
পুনঃভর্তি পরীক্ষায় আকাশের অংশ না নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, আকাশ ছাড়াও জালিয়াতিতে অভিযুক্ত অনেকে পুনঃভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এ ছাড়া অন্যদের সিরিয়ালের কিছুটা এদিক-ওদিক হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৬ হাজার ১৮১ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮৮৬ জন। পাসের হার শতকরা ৬১ দশমিক ১০ শতাংশ।
Advertisement
সোমবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ও ভর্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে ‘ঘ’ ইউনিটের নোটিশ থেকে জানা যাবে। তাছাড়া, যে কোনো অপারেটরের মোবাইল ফোন থেকে DU GHA ˂roll no˃ টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে পাঠিয়ে ফলাফল পাওয়া যাবে।
গত ১২ অক্টোবর এই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। তখন পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু ১৬ অক্টোবর ফল প্রকাশ করা হয়। এই ফলাফলে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৪৬৩ জন। তখন পাসের হার ছিল শতকরা ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ। প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগের পরও এই ফল প্রকাশে ব্যাপক সমালোচনা ও আন্দোলন হয়। পরে ঢাবি প্রশাসন পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১৬ নভেম্বর শুক্রবার ‘ঘ’ ইউনিটের পুনঃভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এমএইচ/জেডএ/এমএস
Advertisement