বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের স্বাদ বাড়ানো ও মূল্যবান প্রসাধনী তৈরিতে জাফরানের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতি বছর দেশে উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে জাফরান আমদানি করা হয়। দেশে এ মসলার বাজার সম্ভাবনা ব্যাপক। তাই দেশের মাটিতেই চাষ করতে পারেন জাফরান।
Advertisement
সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল গবেষক দেশীয় আবহাওয়ায় জাফরান চাষে সফলতা অর্জন করেন।
> আরও পড়ুন- দেশেই ঝিনুক থেকে উৎপাদিত হচ্ছে মুক্তা
গবেষকরা জানান, এটি ইংরেজিতে স্যাফ্রন নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Crocus sativas. জাফরান চাষের ক্ষেত্রে আলো ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। কন্দ রোপণের ৩ মাসের মধ্যে গাছে প্রথমবার গাঢ় বেগুনি রঙের ফুল আসে। আর ৫-৬ মাসের মধ্যে ২ বার ফুল আসে। একটি গাছ ২ বার ফলন দিয়ে থাকে। বেলে-দোআঁশ মাটিতে জাফরান ভালো জন্মায়।
Advertisement
গবেষক দলের প্রধান ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশে কেউ কেউ জাফরান চাষের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন কিন্তু পুরোপুরি সফল হননি, আমরা সফল হয়েছি। উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় ভার্নালাইজেশনের জন্য আমরা রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করেছি।’
> আরও পড়ুন- ঝিনুক চাষে সফলতার হাতছানি
তিনি বলেন, ‘দেশে বাণিজ্যিকভাবে জাফরান চাষের সম্ভাবনা ব্যাপক। বিনিয়োগের তুলনায় লাভ বেশি হবে। কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চাইলে আমরা তাদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘দেশে প্রতি বছর ৩৬-৪০ কেজি জাফরান আমদানি করা হয়ে থাকে। আর ১ কেজি জাফরানের বাজারমূল্য ২.৫-৩ লাখ টাকা। আশা করি দেশের মাটিতে জাফরান চাষ যুগান্তকারী বিপ্লব বয়ে আনবে।’
Advertisement
এসইউ/এমএস