আজ থেকে প্রায় দেড় যুগ আগে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর তারিখে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন বিস্ময় বালক লিওনেল মেসি। অন্যান্য সাধারণ সব চুক্তির মতো ছিলো না মেসির সাথে করা বার্সার সেই চুক্তি।
Advertisement
১৩ বছর বয়সী মেসির খেলায় মুগ্ধ হয়ে তড়িঘড়ি করে তার সাথে চুক্তি করে ফেলে বার্সেলোনার কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু হাতের কাছে কোনো কাগজ বা আনুষ্ঠানিক চুক্তিপত্র না থাকায় এক টুকরো ‘টিস্যু পেপার’ এর মধ্যেই চুক্তির বিষয়বস্তু লিখে সেখানেই চূড়ান্ত করে ফেলা হয় মেসির বার্সেলোনায় যোগদান।
সেই টিস্যু পেপারের চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেছিলেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলার ও তৎকালীন টেকনিক্যাল সেক্রেটারি চার্লস রেক্সাচ, বিখ্যাত এজেন্ট জোসেফ মারিয়া মিঙ্গুয়েলা এবং আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি হোরাসিও জাগিওলি।
কিন্তু হুট করে এতোদিন পরে কেনো সেই চুক্তি ও টিস্যু পেপারের আলোচনা? কারণ সম্প্রতি আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যমে ঘুরঘুর করছে একটি প্রশ্ন, কোথায় আছে মেসি-বার্সা চুক্তির সেই বিখ্যাত টিস্যু পেপার?
Advertisement
দেশটির সংবাদমাধ্যমে চাউর হয় টিস্যু পেপারটি এখন আছে সেই চুক্তির সময় মেসির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা জাগিওলির কাছে। যিনি কি-না বর্তমানে বাস করছেন অ্যান্ডোরায় এবং সেই টিস্যু পেপারটিকে গোপনীয়তার সাথে রেখে দিয়েছেন ক্রেডিট অ্যান্ডোরা ব্যাংকের লকারে।
এ প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে ভালো যিনি দিতে পারতেন সেই জাগিওলির কাছে যায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইনফোবায়। জাগিওলি জানান ইতিহাস গড়া সেই টিস্যু পেপার তার হেফাজতেই রয়েছে এবং এই টিস্যু পেপারের জন্য বিশ্বের নানান জায়গা থেকে মোটা অঙ্কের অনেক প্রস্তাবও পেয়েছেন তিনি।
তবে জাগিওলি এই টিস্যু পেপার বিক্রির পক্ষে নন। তার মতে এটি বার্সেলোনার ইতিহাসের অংশ। তাই এটির জায়গা হওয়া উচিৎ ক্লাবটির জাদুঘরে। তবে এখনই তিনি এটিকে ক্লাবের হাতে হস্তান্তর করতে রাজি নন। মেসির অবসরের পরে কিংবা ক্লাব ছেড়ে গেলে তিনি এটি হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছেন।
ইনফোবায়কে জাগিওলি বলেন, ‘আমি মনে করি সেই টিস্যু পেপারটি বার্সেলোনার জাদুঘরেই থাকা উচিৎ। এটি ক্লাবটির আধুনিক ইতিহাস বদলে দিয়েছে। মেসির ব্যালন ডি’অর গুলোর পাশেই এটির জায়গা হওয়া উচিৎ। তবে এখনই সেই টিস্যু পেপার আমি জনসম্মুখে আনার পক্ষে নই। অন্তত মেসির অবসর বা ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার পরে এটি করা যেতে পারে।’
Advertisement
এসএএস/জেআইএম