দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে কিংবা কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অনেককেই বিদেশ যেতে হয়। সেখানে অনেকেই হয়রানির শিকার হন। সঠিক নিয়ম-কানুন এবং যথাযথ জ্ঞানের অভাবে অনিরাপদ হয়ে ওঠে প্রবাস জীবন। তাই বিদেশ যাওয়ার আগেই জেনে নিতে হয় অনেক কিছু। আসুন জেনে নেই নিরাপদে বিদেশ যেতে করণীয় সম্পর্কে-
Advertisement
১. বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।২. নিয়োগপত্র বা কন্ট্রাক্ট লেটার ওই প্রতিষ্ঠানে ফোন বা ই-মেইল করে জাস্টিফাই করতে হবে। ৩. বিমানের টিকিট সঠিক আছে কিনা, তা চেক করা। ৪. ভিসা পাওয়ার পর অ্যাম্বাসিতে ই-মেইল বা ফোন করে যাচাই করা।৫. বৈধ মেডিকেল বা ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা। ৬. চাকরির বিবরণ, বেতন, থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য বিষয় কন্ট্রাক্ট লেটারে আছে কিনা, তা ভালো করে দেখা। ৭. যে কাজের জন্য বিদেশে যাবেন, সেই কাজের ওপর বৈধ অভিজ্ঞতার সনদ থাকা। ৮. দেশের বাইরে যাওয়ার আগে ভোকেশনাল ট্রেনিং বা কারিগরী শিক্ষা নেয়া।
> আরও পড়ুন- আইইএলটিএস করতে চাইলে
৯. অবশ্যই যে দেশে যাবেন, সেই দেশের ভাষার উপর দক্ষ হওয়া। ১০. প্রয়োজনে সে দেশের ভাষার ওপর কোর্স সম্পন্ন করা। তবে ইংরেজিতে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। ১১. রিক্রুটিং এজেন্সি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা। তার পরেই কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া। ১২. যে কোন ধরনের দালাল বা এজেন্ট এড়িয়ে সরাসরি কাজ করা। ১৩. টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। ১৪. সরকারি বা বেসরকারিভাবে রিক্রুটিং এজেন্সির কার্যক্রম মনিটরিং করা।১৫. দেশের ইমেজ নষ্টকারী এজেন্সিদের লাইসেন্স বাতিল করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। ১৬. নিরাপদ অভিবাসনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিজ্ঞাপন প্রচার করা।
Advertisement
> আরও পড়ুন- জেনে নিন চাকরি না হওয়ার কারণ
১৭. মনিটরিং সেল গঠন করে বহির্বিশ্বের মিশনগুলোর কার্যক্রম নজরদারি করা। ১৮. ভিকটিমদের জন্য আলাদা অভিবাসন হট লাইন চালু করা। ১৯. নতুন নতুন দেশে কর্মসংস্থান খুঁজতে লোকাল এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া। ২০. তৃণমূল পর্যায়ে নিরাপদ অভিবাসনের জন্য সচেতনতা তৈরি করা।২১. ফ্লাই করার আগে বিএমইটির (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) স্মার্ট কার্ড নেয়া। ২২. বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোতে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ২৩. কাউকে দোষারোপ করার আগে নিজেকে সচেতন করা।
এসইউ/জেআইএম
Advertisement