ঢাকা ওয়াসা’র ফকিরাপুল কার্যালয়ে বিল কারচুপি, অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছামত বিল প্রস্তুত ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ আমলে নিয়ে রোববার অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
দুদকের হটলাইন (১০৬)-এ পাওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও দুদকের পুলিশ ইউনিটের সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেন।
অভিযানকালে ওয়াসা’র ৩ জন ইন্সপেক্টরকে তাৎক্ষণিকভাবে বদলি করা হয়। তারা হলেন- গোলাম রাব্বানী, শাহ মিরান ভূঁইয়া ও শফিকুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে টিম জানতে পারে, ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম উৎকোচের বিনিময়ে গ্রাহকদের বিল কমিয়ে দেয়ার অফার দেন। অন্যদিকে ইন্সপেক্টর গোলাম রাব্বানী’র বিরুদ্ধে মিটার না দেখেই বিল প্রস্তুত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বাড়তি অর্থ না দেয়ায় ইন্সপেক্টর শাহ মিরান ভূঁইয়া গ্রাহকদের বিল বাড়িয়ে দেবার হুমকি দেন। এছাড়া দুদক টিমের উপস্থিতিতে গ্রাহকদের অভিযোগের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সমাধানের উদ্দেশ্যে তাৎক্ষণিকভাবে একটি রেজিস্টার খোলানো হয়।
Advertisement
অভিযানকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রচুর বিল বকেয়া থাকারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালের পৌনে ৫ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পুলিশ কো-অপারেটিভ সোসাইটি’র ৩৩ লাখ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। অবিলম্বে এসব বিল সমন্বয়ের ব্যবস্থা গ্রহণে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেয় দুদক টিম।
এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে এসব দুর্নীতির কারণে জনভোগান্তি বাড়ছে। দুদক নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে এসব দুর্নীতি হ্রাস করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
এমইউ/জেএইচ/এমএস
Advertisement