আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন জোটের প্রার্থী তালিকা আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Advertisement
রোববার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী তালিকা একসঙ্গে প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রায় ঠিক করে ফেলা হয়েছে, এখন জোটের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যাদের মনোনয়ন দিতে চায় আমরা সেই তালিকা চেয়েছি। আগামীকালের মধ্যে সেটা পেয়ে যাব। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে বসতে পারি।’
Advertisement
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জোটগতভাবে যে সমীকরণ দাঁড়াবে সেখান থেকে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এটা করতে ৪/৫ দিন সময় লাগবে।’
জোটের শরীকদের কতগুলো আসন দেয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’৬৫-৭০টির মতো। তবে এরমধ্যেও আলাপ আলোচনা ও জরিপ অনুযায়ী জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী বেশি হলে তাদের আরও বেশি আসন দেয়া হবে। আর কম থাকলে তাও বিবেচনা করা হবে।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘যেমন আমাদের মধ্যে যারা জয়ী হওয়ার মতো না তাদের বাদ দিতে দ্বিধা করব না। জরিপ অনুযায়ী যারা এগিয়ে আছেন তাদের মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
এবারের মনোনয়ন তালিকায় নবীন-প্রবীণ প্রার্থী থাকছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
তারেকের বিষয়ে ইসির প্রতি কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘জাতির কাছে বলতে পারি যে একজন দণ্ডিত, পলাতক আসামি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে কি-না?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা দিক হচ্ছে আমি জাতির কাছে এর বিচার চাইছি। আরেকটা হচ্ছে, ইলেকশন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, দুটি মামলায় একটিতে সাত বছর এবং আরেকটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক আসামি এভাবে ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে কি-না- এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রী থাকবেন না এটা সুনিশ্চিত
পদত্যাগপত্র জমা দেয়া চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংবিধানে একটা বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে সেটা হচ্ছে যে কোনো সরকারেই নির্বাচনের সময় সেখানে টেকনোক্র্যাট কোটা থেকে কেউ থাকতে পারবে না। কাজেই এ চারজন ইলেকশন টাইমে থাকতে পারবে না, এটাই সুনিশ্চিত।’
তারা কবে থেকে থাকবেন না- এ বিষয়ে কাদের বলেন, ‘দেখুন একটা প্রক্রিয়া আছে। তাদের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সেটা রাষ্টপতির কাছে পাঠাবেন। যখন রাষ্ট্রপতি এটা একসেপ্ট ও অ্যাপ্রুভ করবেন তখনই...। আমি তো মনে করি কাউন্টিং এ ডেজ এনি টাইম তারা থাকবেন না। যে কোনো সময় হয়ে যাবে।’
আরএমএম/এমএমজেড/এএইচ/এমএস