আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবা আকবর আলীকে (৭০) ফেলে দিয়ে অপহরণের পর মেয়ে জরিনা বেগমকে (৪৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
Advertisement
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) মোহা. আসাদুজ্জামান জানান, শনিবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদর দফতরের করফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা হয়। মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তভার গত ১১ নভেম্বর পিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয় পুলিশ সদর দফতর। এরপর থেকে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির তদন্ত করে আসছিল পিবিআই।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৯ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের মরাগাঙ এলাকা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারীর বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালী এলাকায়। ওইদিন দুপুরে জরিনা বেগম তার বাবাকে নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান।
Advertisement
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার উদ্দেশে একটি ফাঁকা বাসে ওঠেন বাবা-মেয়ে। বাসের চালক সেখান থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর যাত্রী তোলার কথা বলে সাভারের হেমায়েতপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর আবার সেখান থেকে ফিরে আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক হয়ে আব্দুল্লাহপুরের উদ্দেশে চালাতে থাকে।
এভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকায় বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের সঙ্গে জরিনা বেগম ও তার বাবার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাসটি আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি গেলে বাসের শ্রমিকরা বৃদ্ধ আকবর আলীকে পিটিয়ে আহত করে এবং তার দেহ তল্লাশি করে সঙ্গে থাকা ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে চলন্ত বাস থেকে আশুলিয়া ব্রিজের নিচে ফেলে দেয় হয়।
এ ঘটনার পর বৃদ্ধ আকবর আলী মেয়েকে বাঁচাতে আশুলিয়া থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ মরাগাঙ এলাকায় মহাসড়কের পাশে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
জেইউ/এসআর/এমএস
Advertisement