সব সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন ধানের শীষে ভর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘যারা এতদিন গণতন্ত্রের বেশে ছিল, তারা ছদ্মবেশী। তারা এতদিন মুক্তিযুদ্ধের নানা বুলি ছড়িয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধেও ছিল, তারা ছদ্মবেশী মুক্তিযোদ্ধা।’
শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, তারা সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে নির্বাচনে জেতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আঁতাত করতে থাকে। তাদের সবার পরিচয় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এটার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।
Advertisement
আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে। আসলে জনসমর্থের যে পারদ তাতে তাদের অবস্থান নিচের দিকে। তারা অনুধাবন করতে পেরেছে, তারা হতাশা থেকে বেপরোয়া হয়ে গেছে এবং বেপরোয়া বক্তব্য দিচ্ছে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে কয়েকটি মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অভিযোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই - এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগুন দিয়ে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে, ভাঙচুর করবে, ২০ জন পুলিশকে আহত করে হাসপাতালে পাঠাবে, এই অপকর্ম সন্ত্রাস, সহিংসতার কাজ কি বিনা শাস্তিতে ঢাকা পড়ে যাবে? তফসিল ঘোষণার পর এই দুঃসাহস তারা কিভাবে দেখায়? অপরাধ করলে কি অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়া অপরাধ? এটা ক্রিমিনাল অফেন্স, অ্যাক্ট অব টেররিজম। এ ধরনের অপরাধ বিনা শাস্তিতে যাবে না। পুলিশ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করছে না, যাতে নির্বাচনটা ভালোভাবে হয়। দেশের মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারে এজন্য সরকারি দল হিসেবে আমরা অনেক কিছু সহ্য করে যাচ্ছি। তারা যেন আমাদের সহনশীলতাকে দুর্বলতা না ভাবে।
কাদের আরও বলেন, পল্টনে পুলিশের ওপর হামলা করে তারা প্রমাণ করেছে। তারা তাদের পুরানো পথ, আগুন সন্ত্রাসের পথ, সেই পথ ধরে এগিয়ে যেতে চায়। কারণ তারা জানে বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন তাদের পক্ষে নেই। সেই কারণে তারা সহিংসতার পথ, নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। কানাডার আদালত যেই রায় দিয়েছে সেই চরিত্র থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দক্ষিণ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
Advertisement
এইউএ/এনএফ/পিআর