কাঁঠাল পাতার ঠোঙ্গা ও তাল পাতার চামচ। শিক্ষার্থীদের মুষ্ঠিবদ্ধ চাল। আর এ চাল থেকে ক্ষীর ও পায়েস। এ যেন এক অন্য রকম নবান্ন উৎসব। অগ্রাহায়নের প্রথম দিন শহর তলির ‘পশ্চিম নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে’ শিক্ষার্থীদের মুষ্ঠিবদ্ধ চাল সংগ্রহের মাধ্যমে দিনব্যাপী ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠান। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক ‘একুশে পরিষদ নওগাঁ’।
Advertisement
সকালে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসার সময় সঙ্গে নিয়ে এসেছিল মুষ্ঠি চাল। সেই চাল থেকে ক্ষীর ও পায়েস তৈরি করা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আগত অতিথিদের ক্ষীর ও পায়েস তৈরি করে আপ্যায়ন করানো হয়। গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে খাবার পরিবেশন করা হয় কাঁঠালের পাতার ঠোঙ্গা ও তাল পাতার চামচ। এর সঙ্গে থাকে মুড়ি-মুড়কি।
পরে নবান্ন উৎসবের আলোচনায় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হাসেম আলির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, একুশে পরিষদ নওগাঁ'র উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম খান ও ময়নুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেল।
এরপর চলে নাচ, গান, গল্প ও কবিতা আড্ডা।
Advertisement
বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাশিদুজ্জামান, হাসিব ও শিহাব জানায়, স্কুলে আসার সময় নবান্ন উসবের জন্য বাড়ি থেকে একমুঠো চাল নিয়ে এসেছিলাম। সেই চাল থেকে ক্ষীর ও পায়েস করা হয়েছিল। খুবই ভারো লাগছে এমন আয়োজনে। আগে কখনই এমন আয়োজন করা হয়নি।
একুশে পরিষদের উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম খান বলেন, বাঙালির এক প্রিয় উৎসব নবান্ন। আমনের নতুন ধানে বাঙালির ঘরে ঘরে নতুন ধানের পিঠা ও পায়েস উৎসব হয়ে থাকে। অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়ে থাকে। যেদিন থেকে নতুন ধান কাটা শুরু হয়েছিল ঠিক তখন থেকেই এ উৎসব পালন হয়ে আসছে। তবে ঠিক করে তা বলা সম্ভব নয়। নিঃসন্দেহে এটি বাঙালিদের প্রিয় উৎসব।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেল বলেন, আগে আমরা দেখতাম গ্রামে আমাদের মা-খালারা বাড়িতে নতুন ধান উঠলেই সেই ধানের চাল দিয়ে ক্ষীর, পিঠা-পুলি তৈরি করে প্রতিবেশীদের মাঝে বিতরণ করতেন। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আবহমান কাল থেকে এ উৎসব পালন করে আসছে।
আব্বাস আলী/এমএএস/এমএস
Advertisement