আজকাল অনেক কিছুরই টিপস পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। ওজন কমানোর টিপস, সুন্দরী হওয়ার টিপস, আদর্শ স্বামী হওয়ার টিপস, চাকরি পাওয়ার টিপস। আর তার বেশিরভাগই শর্টকার্টে বড়লোক হবার মতো ব্যাপার।একইভাবে আজকাল শোবিজেও দেখা যায় শর্টকাটে অনেকেই অনেক কিছু হয়ে যাচ্ছেন। গানের ‘গ’ না জানলেও তিনি মিডিয়াতে তারকা কণ্ঠশিল্পীর তকমা পাচ্ছেন। অভিনয়ের ‘অ’ না জেনেও কেউ কেউ হয়ে যাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী-নায়িকা। আর ছোট পর্দার ক্ষেত্রে মুড়ি মুড়কির মতো বাড়ছে নির্মাতা।তার মানে বোঝাই যাচ্ছে দেশে এখন নাট্যনির্মাতাদের চাহিদা অনেক। সে বিষয়টি বিবেচনায় এনেই কি না কে জানে, দেশের স্বনামধন্য একজন নাট্য নির্মাতা মেজবাহউদ্দীন সুমন টিপস দিলেন খুব সহজেই নাট্য পরিচালক হওয়ার!মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি মাত্র ৮টি সহজ পরামর্শ দেন। চলুন এক পলকে দেখে নেয়া যাক-১ . অনেক আশা ভরসা দেখিয়ে বোকসোকা একটা রাতা মুরগ ধরে তাকে প্রডিওসার করুন।।২ . খুব ভালো / মোটামুটি মানের একটি স্ক্রিপ্ট জোগাড় করুন।।৩ . ভালো কিছু অভিনেতা নিন...স্ক্রিপ্টানুযায়ী তারাই এ্যাক্টিং করবে...আপনার কিছু না জানলেও চলেবে।।৪ . ভালো ক্যামেরাম্যান নিন...সেই শট নিবে...আপনার কিছু না জানলেও চলেবে।।৫ . ভালো চিফ এডি নিন...সেই প্রোডাকশান সামলাবে...নো চিন্তা...৬. এডিটরই এডিট আর মিউজিক করে দিবে..আপনি প্যানেলের এসিতে নাভিতে তেল মেখে ঝিমোবেন..৭ . ভালো লবিং করে বেচে দেন চ্যানেলে..ব্যাস..সবাইকে ফোন দিয়ে বলেন..নাটক বানালছি..হোতালছি..কোপালছি...৮. নিন্দুককে মারুন ঝারি..ব্যাটা নাটক বানায়া কি অস্কার পাবি নাকি..যত্তোসব...শেষ কথা, এই টিপসগুলো অনুসরণ করার আগে নিজের যোগ্যতা ও নাটক নির্মাণে নিজের সামর্থ্যটা আগে বিবেচনায় আনুন। সেইসাথে, উপরের টিপসগুলোর অন্তর্নিহিত গুরুত্ব ও মহাত্বও অনুধাবণ করা উচিত।এলএ
Advertisement