অভিনয় দক্ষতার সাথে তার ঝাঁঝালো ভরাট কণ্ঠ, ভয়ানক চোখ খলনায়ক হিসেবে রাজীবকে দিয়েছিলো অনন্য জনপ্রিয়তা। সমসাময়িক ভিলেনদের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় ছিলেন তিনি এইসব কারণে।
Advertisement
তবে রাজীবের জনপ্রিয়তার আরেকটি বিশেষ কারণ ছিলো সিনেমাটিক সংলাপ। বিভিন্ন ছবিতে মজার আর ভয়ংকর কিছু সংলাপ তিনি ব্যবহার করতেন। সেগুলো মানুষের মুখে মুখে জায়গা করে নিয়েছিলো। এখনো সেসব সংলাপ দিয়ে নানা অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন মানুষ।
যেমন কোনো কাজে কর্মে বা কারো উপর বিরক্ত হলেই বলতে শোনা যায় ‘শান্তি নাইরে শান্তি নাই’। এই সংলাপটি ‘মীরজাফর’ নামের চলচ্চিত্রে বিখ্যাত হয়েছিলো রাজীবের মুখে। কথায় কথায় তিনি বলতেন ‘শান্তি নাইরে শান্তি নাই কবরে গিয়াও শান্তি নাই’। সেই ডায়ালগ লুফে নিয়েছিলো দর্শক।
আবুল খায়ের বুলবুল পরিচালিত ‘মীরজাফর’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রুবেল, চম্পা ও দিলদার।
Advertisement
এছাড়া আরও কিছু সংলাপ ছিলো রাজীবের, যা জনপ্রিয়। দেখে নেয়া যাক সেগুলো এক পলকে-
আমি মাইন্ড করলাম – দাঙ্গাইল বাবা ইল ইল – চাঁদাবাজরাজনীতিতে একটা কথা আছে – বিক্ষোভশান্তি নাইরে শান্তি নাই কবরে গিয়াও শান্তি নাই – মীরজাফরআমার চেহারা মাপ আমি আরজুর বাপ – আসামী গ্রেফতারইলু ইলু – শেষ সংগ্রামকী আনন্দ কী আনন্দ – হিংসার আগুনআমি এল এল বি লাইফ লং ব্যাচেলর – বিদ্রোহী সন্তানআগুন নিয়ে খেলতে আমি ভালোবাসি – লক্ষীর সংসারআপনি পঁচা – খলনায়কআমি ছিলাম আমি আছি আমি থাকব – মিথ্যার রাজাকী আশচাইযো – ত্রাস
গান দিয়েও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেতা রাজীব। রিয়াজ-পপির ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’ ছবিতে প্রতিবাদী চরিত্রে কাজ করেছিলেন তিনি। সেখানে ‘মোরা নিরন্ন বড় ক্ষুধার্ত’ গানে তাকে অন্যরকম জনপ্রিয়তিা দিয়েছিলো।
এছাড়া ‘শেষ খেলা’ ছবিতে ‘সুন্দর সন্ধ্যায় এ গান দিলাম উপহার’ গানটি প্রেমিক রাজীবকে তুলে ধরেছিলো দর্শকের কাছে। আর সালামান-মৌসুমীর ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির ‘বাবা বলে ছেলে নাম করবে’ গানটিতে রাজীব ছিলেন অনবদ্য।
Advertisement
এর বাইরে ‘আব্বাজান’ ছবিতে ‘তোমার মরণকালে কাঁদবে যে জন’, ‘হুলিয়া’ ছবিতে ‘তোর লাল গোলাপি গাল’, ‘স্নেহের প্রতিদান’ ছবিতে ‘এই দিন সেই দিন এলো ফিরে’, ‘আত্মত্যাগ’ ছবিতে খুলো না ঢাকন ‘ এবং ‘দায়িত্ব’ ছবিতে ‘কি জানি কি হয়’ শিরোনামের গানগুলোতে দেখা গিয়েছিলো নন্দিত অভিনেতা রাজীবকে।
এলএ