বাঁহাতের কনিষ্ঠার ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই মাঠের বাইরে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার অনুপস্থিতিতে কেমন হবে বাংলাদেশের টেস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্ট, কতটুকুই বা পারবে জিম্বাবুয়েকে আটকে রাখতে- এ নিয়ে চিন্তা ছিলো বিস্তর।
Advertisement
কিন্তু খেলা শুরু হতেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেল সে চিন্তা। অবশ্য বলা ভালো তাইজুল ইসলাম হাওয়ায় মিলিয়ে দিলেন সে চিন্তা। সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। সে ধারা বজায় রেখে ঢাকা টেস্টেও পাঁচ উইকেট নিয়ে করেছেন পাঁচ উইকেটের হ্যাটট্রিক।
বাংলাদেশের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড তথা অবমূল্যায়িত বোলার বলা চলে এ বাঁহাতি স্পিনারকে। সাকিব আল হাসানের উজ্জ্বলতা ও দ্যুতির সামনে প্রায়ই ম্লান হয়ে যায় তাইজুলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সব ঘটনাগুলো। এবার সাকিবের অনুপস্থিতিতে নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারলেন ২৬ বছর বয়সী এ বাঁহাতি স্পিনার।
দলের মূল বোলার সাকিব না থাকায় তার ঘাড়ে যে বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়েছে সেটি বেশ উপভোগই করছেন তাইজুল। এনামুল হক জুনিয়র এবং সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে হিসেবে পাঁচ উইকেটের হ্যাটট্রিক করার পরে তাইজুল জানিয়েছেন এ সাফল্যে বাড়তি তৃপ্তি নয় বরং বাড়তি দায়িত্বটাই তিনি উপভোগ করছেন।
Advertisement
তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেন, ‘সাকিব ভাই না থাকায় এটা বাড়তি তৃপ্তি না, এখন আমি অনেক বেশি বোলিং করার সুযোগ পাচ্ছি। সাকিব ভাই থাকলে হয়তো আমার ওপর এত দায়িত্ব পড়ত না। আমি এটা উপভোগ করছি।’
বল হাতে টানা তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নেয়ার দিনে তাইজুল ধরেছেন বাজপাখির মতো একটি ক্যাচও। মিরাজের বলে স্লগ সুইপ খেলেন টেলর। বল চলে যায় লং লেগ অঞ্চলে। সেখানে ঠিক বলের নাগালের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাইজুল। কিন্তু ডান দিকে নিজেকে বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে তিনি যে ক্যাচটি ধরেন, সেটা চোখে না দেখলে কারও বিশ্বাস হওয়ার কথা নয়।
অবিশ্বাস্য এ ক্যাচের ব্যাপারে তাইজুল বলেন, ‘এই ক্যাচ গুলো বলে কয়ে হয় না, আপনাকে হয় ধরতে হবে না হয় মিস হবে। আমি ক্যাচ ধরার মন মানসিকতা নিয়েই ডাইভ দিয়েছিলাম।’
এসএএস/এমএস
Advertisement