ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটে পুনরায় নিতে যাওয়া ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য এক ছাত্রীকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
Advertisement
এদিন সুপ্রিম কোর্টর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মেয়ে আনিকা বিনতে ইউনুছকে উত্তীর্ণদের সঙ্গে ফের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
শুনানিকালে আদালত বলেন, যেহেতু ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফের পরীক্ষা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাহলে শুধুমাত্র উত্তীর্ণদের কেন? পরীক্ষা নিলে সকলেরই নিতে পারতো। বাকিদের কেন নেয়া হবে না এমন প্রশ্ন করেন আদালত।
Advertisement
জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বরং ডিজিটাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। যার সঙ্গে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এমনকি এর সঙ্গে জড়িত কিছু সংখ্যককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টে এমনটিই উঠে এসেছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধুমাত্র উত্তীর্ণদের ফের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সময় আদালত বলেন, সকলেরই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। পরে আদালত আইনজীবী ইউনুছ আলীর মেয়ে আনিকা বিনতে ইউনুছকে ফের ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ দিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
গত ২১ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী। রিটে ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা কেন ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আবেদন করা হয়। শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে রিটে বিবাদী করা হয়।
ওই ভর্তি পরীক্ষায় ১৮ হাজার ৪৬৪ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। উত্তীর্ণ এসব শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর (শুক্রবার) ফের ভর্তি পরীক্ষার দিন ঠিক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Advertisement
এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি