বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সগুলো প্রোপেলার চালিত উড়োজাহাজ (টার্বোপ্রপ) জাদুঘরে পাঠাতে শুরু করলেও বাংলাদেশে যেন এর কদর বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি কম দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট পরিচালনার সুবিধার দোহাই দিয়ে পাখাযুক্ত এ ধরনের উড়োজাহাজ কেনার চিন্তা-ভাবনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিমানের বহরে আরো টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজ আনা হবে।বিমান সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে দুটি ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কম গতিসম্পন্ন এ ধরনের উড়োজাহাজ দিয়ে গত এপ্রিলে চালু করা হয়েছে সাত বছর বন্ধ থাকা অভ্যন্তরীণ রুটের বেশ কিছু ফ্লাইট। অন্যদিকে, বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো অভ্যন্তরীণ রুটে একের পর এক নতুন প্রজন্মের জেট ও বোয়িংয়ের সংযোজন ঘটাচ্ছে।দেশের অভ্যন্তরে একই গন্তব্যে বিমানের সর্বোচ্চ তিনটি ফ্লাইট পরিচালনার ইতিহাস থাকলেও বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর কারো কারো একই গন্তব্যে প্রতিদিন ছয়টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বেসরকারি উদ্যোগে আনা দ্রুত গতিসম্পন্ন কানাডার বোম্বাডিয়ার (বোয়িং) তৈরি ড্যাস-৮-কিউ-৪০০ এয়ারক্রাফ্ট কিংবা ব্রাজিলিয়ান এমব্রয়ার কোম্পানির সর্বাধুনিক সুবিধাদির সংযোজনে তৈরি ইআরজে-১৪৫ মডেলের এসব এয়ারক্রাফ্ট দেশের অভ্যন্তরীণ রুটকে সমৃদ্ধ করলেও বিমান এখনো দৌড়াচ্ছে সনাতন টার্বোপ্রপ বা প্রোপেলার চালিত উড়োজাহাজের খোঁজে।বৈমানিক ক্যাপ্টেন নাসিমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, খুব অল্প সময়ে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো আকাশে বিপ্লব ঘটালেও বাংলাদেশ বিমানকে চুষে খাচ্ছে রাঘব বোয়ালরা। তবে কি কারণে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজের বদলে সনাতন টার্বোপ্রপ কেনার চিন্তা-ভাবনা করছে বিমান এমন প্রশ্নের জবাব জেনেও মুখ খুলতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা।আরএম/এআরএস/পিআর
Advertisement