এবার প্রতি কেজি আমন ধানের উৎপাদন ব্যয় ২৫ টাকা ৩০ পয়সা ও চালের উৎপাদন ব্যয় ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর এই ব্যয় ছিল ধানে ২৪ টাকা ৬৩ পয়সা, চালে ৩৭ টাকা ০২ পয়সা।
Advertisement
এবার প্রতি কেজি ধানে ৬৭ পয়সা ও চালে ৮৮ পয়সা বেড়েছে। গত বছর এর আগের বছরের চেয়ে ধানে ৫ টাকা ৬৩ পয়সা ও চালের ব্যয় ৮ টাকা ২ পয়সা বেড়েছিল।
আমনের এ উৎপাদন মূল্য নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমন ফসলের উৎপাদন ব্যয় প্রাক্কলন সংক্রান্ত এক সভায় এ খরচ নির্ধারণ করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নীতি, পরিকল্পনা ও সমন্বয়) মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
সভায় উপস্থিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এখন আমনের উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ সংক্রান্ত ফাইল মাননীয় মন্ত্রীর কাছে যাবে। তিনি অনুমোদন দিলে এটি চূড়ান্ত হবে।’ ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জৈব সার, শ্রমের মজুরি (পারিবারিক ও ভাড়াকৃত শ্রম), জমি কর্ষণ বাবদ খরচ, সেচ ও ধান হতে চাল করার মিলিং খরচ (সিদ্ধ ও পরিবহনসহ) বিবেচনায় নিয়ে চলতি অর্থবছরের আমনের উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, আগামী নভেম্বর মাসের শুরুতে আমন কাটা শুরু হবে। কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় এজন্য আগেই ধান ও চালের উৎপাদন মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সরকার এই দামেই অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আমন কিনে থাকে।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ফসল উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খরচগুলো প্রায় গত বছরের মতোই আছে। এজন্য এবার উৎপাদন ব্যয় সামান্য বেড়েছে।
বোরোর পর আমনই দেশের সবচেয়ে বড় ফসল। সরকার প্রতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে তিন লাখ টনের মতো আমন চাল সংগ্রহ করে থাকে। গত অর্থবছরে সংগ্রহ কার্যক্রম ৩ ডিসেম্বর শুরু হয়, শেষ হয় চলতি বছরের ৭ মার্চ। গত মৌসুমে প্রতি কেজি ৩৯ টাকা দরে ৬ লাখ এক হাজার ৯৮৪ টন আমন চাল সংগ্রহ করেছিল সরকার।
Advertisement
আরএমএম/এনএফ/পিআর