রাজনীতি

ভোটাররা নিজের পায়ে কুড়াল মারবে না : অর্থমন্ত্রী

>> বার্ষিক আয় দুই শতাংশ করে বাড়াতে হবে>> দেশে বাজেটের আয়তন খুবই কম>> এখনো চেষ্টা করছি, এটা করতেই থাকবো

Advertisement

অর্থনৈতিক গতিধারার অব্যাহত উন্নয়নে আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আমাদের ভোটাররা সচেতন। তারা যে ভুল করবে না, সে ব্যাপারে আমি খুবই নিশ্চিত। তারা নিজের পায়ে কুড়াল মারবে না। আমি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছি।

সোমবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিঅার) ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহিত বলেন, বার্ষিক আয় দুই শতাংশ করে বাড়াতে হবে। এটা খুব অসম্ভব নয়। এক দশমিক সাত শতাংশ পর্যন্ত করতে পেরেছি। আরেকটু চেষ্টা করলেই দুই শতাংশ করে বাড়াতে পারবো। তবে অর্জন খুব মন্দ নয়। গত ১০ বছরে বার্ষিক আয় বৃদ্ধি দ্বিগুণের বেশি বাড়াতে সম্ভব হয়েছি। ভবিষ্যতে এটা ভালো করতে পারবো।

Advertisement

৩৬ ক্যাটাগরিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সেরা ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে ট্যাক্স কার্ড তুলে দেয়া হয় এ অনুষ্ঠানে। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বাজেটের আয়তন খুবই কম। যেখানে অন্যান্য দেশে বাজেটের আয়তন হয় প্রায় ২৪ থেকে ২৮ শতাংশ, তাদের দেশে যে গড় সম্পদ সে তুলনায়। আমাদের এখানে তা ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ। এর চেয়ে বেশি হয় না। অনেক চেষ্টা করার পরেও এখনো সেই অবস্থায় আছে।

গত ১০ বছরে বাজেটের আকার কয়েকগুণ বাড়লেও দেশের বাজেট সম্পর্কে মুহিত বলেন, খুব বেশি উন্নতি হয়েছে বলে আমি স্বীকার করতে চাই না। আয়তন হয়তো কিছুটা বড় হয়েছে কিন্তু সম্পদের তুলনায় এট কম। এর ফলে যে অসুবিধাটা হয় সেটা হলো সরকারের অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের অনেক দাবি-দাওয়া থাকলেও, সেগুলো পুরোপুরি পূরণ করা যায় না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, আমাদের যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আছে তার তুলনায় বাজেটের আকার ২৩ থেকে ২৪ শতাংশ করা গেলে বিরাট পরিবর্তন আসবে। এখনো চেষ্টা করছি। এটা করতেই থাকবো।

Advertisement

অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এনবিঅার করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার এতে স্বাগত জানায়। এতে করে কর প্রদান অারও সহজ ও গ্রহণযোগ্য হবে।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করবো, কর প্রদানে সবাই স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসবে। নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটলেও বাংলাদেশ কর জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) অনুপাতে এখনো পিছিয়ে আছে। করের আওতা বাড়াতে কাজ চলছে। তবে একই ব্যক্তির ওপর যেন বারবার করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া না হয়।

এমএ/জেডএ/বিএ