দেশজুড়ে

বরগুনার দুই আসনে আ.লীগের প্রার্থী ৮৪ জন

বরগুনা সদর, আমতলী এবং তালতলী উপজেলা নিয়ে গঠিত ১০৯ বরগুনা-১ আসন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বরগুনা সদর এবং বেতাগী নিয়ে গঠিত ছিল বরগুনা-১ আসন।

Advertisement

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এরশাদের শাসনামল এবং ১৯৯৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় নির্বাচন ব্যতীত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই এ আসন থেকে জয় লাভ করেছে আওয়ামী লীগ। আর এ কারণেই দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ হিসেবে আখ্যা পেয়েছে বরগুনা-১ আসন।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বরগুনা-১ আসন আবারও রেকর্ড গড়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র ক্রয়ে। দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন।

বরগুনা সদর থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন বরগুনা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবীর ও গোলাম মোস্তফা, বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন মন্টু, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মৃধা, আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির কৃষিবিষয়ক সহ-সম্পাদক মশিউর রহমান শিহাব, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, রইসুল আলম রিপন, বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মো. সিদ্দিকুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা সোহেলী পারভিন মনি, আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা খলিলুর রহমান, বরগুনা সদর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি ও বরগুনা সদর উপজেলা বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মাদ ওলি উল্লাহ ওলি এবং জেলা আ.লীগ সদস্য মনিরুজ্জামান নসা, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন রাসেল ফরায়েজী প্রমুখ।

Advertisement

আমতলী উপজেলা থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন, ২০০১ সালে বরগুনা-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম সরওয়ার ফোরকান, আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম দেলোয়ার হোসেন, বরগুনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম তালুকদারের স্ত্রী জাকিয়া এলিচ প্রমুখ। তালতলী উপজেলা ক্রয় করেছেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু ও তালতলী উপজেলা আ.লীগ নেতা ফজলুল হক জোমাদ্দার।

এছাড়াও বরগুনা-১ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন ক্রয়কারীদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকায় বসবাসরত সাবেক ছাত্রলীগ ও যুব নেতাদের মধ্যে মিজানুর রহমান মিজান, আবদুস সোবাহান খান, আবদুস সোবাহান লিটন, মামুদুর রহমান নিরু প্রমুখ।

বেতাগী, বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত ১১০ বরগুনা-২ আসন। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন ৩২ জন।

এরা হলেন, বরগুনা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বামনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, বরগুনা পৌরসভা থেকে দু’দুবার নির্বাচিত (বর্তমান) মেয়র ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মো. শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন অর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক মেজবাহ উদ্দিন খান, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন ও পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আলহাজ মো. মাহবুবুর রহমান টুকু এবং সাবেক ছাত্রনেতা ও কৃষিবিদ শামসুল আলম, বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ নাসিমা ফেরদৌসী, পাথরঘাটা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের নারী ভাইন চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন।

Advertisement

এছাড়াও এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন, সামসুল আলম, মামুনুর মিঠু, সাইফুল ইসলাম সরওয়ার, মিজানুর রহমান, সাইদুর রহমান সবুজ, হাসিবুর রহমান হাসিব, এন্টুনি গোমেজ, জামাল হোসাইন, জয়নাল আবেদিন খান, ফিরোজ আলম টিটু, আনোয়ার আকন, তৌহিদুল ইসলাম, গোলাম নাসির প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বরগুনা-১ ও বরগুনা-২ উভয় আসনের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের বড় একাংশ বিরোধিতা করে আসছেন। বরগুনা-১ আসনের সংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এছাড়াও বরগুনা-২ আসনের এমপি রিমনের বিরুদ্ধেও তিনটি উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ফলে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বরগুনার দুটি আসন থেকেই মনোনয়নপত্র কিনেছেন উভয়পক্ষের নেতারা।

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এমএএস/এমএস