প্রবাস

আগামী মাসেই মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু

আগামী এক মাসের মধ্যেই মালয়েশিয়ায় নতুনভাবে জনশক্তি রফতানি শুরু হবে। কলিং ভিসায় অপেক্ষমান কর্মীরা ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সাত শতাধিক বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই নতুন প্রক্রিয়ায় কর্মী যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

Advertisement

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়া সরকার ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মুহা. শহিদুল ইসলাম।

১২ নভেম্বর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ হোটেল বিস্তানার হলরুমে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিত মার্কেটিং কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহা. শহিদুল ইসলাম এ কথা বলেন।

হাব সভাপতি আলহাজ আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ আব্দুস শাকুর, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, রুহুল আমিন মিন্টু ও আকবর হোসেন মঞ্জু।

Advertisement

আরো উপস্থিত ছিলেন, হাবের অর্থ সচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, শাহ আলম, মাহমাদুল হক পেয়ারু, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ, এম এন এইচ খাদেম দুলাল, মোহাম্মদ জুনায়েদ গুলজার, আলহাজ শরীয়াত উল্লাহ শহিদ, দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, প্রথম সচিব কন্স্যুলার মো. মাসুদ হোসাইন।

কুয়ালালামপুরস্থ হোটেল বিস্তানায় সোমবার হাবের কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত হাই কমিশনার মুহ. শহিদুল ইসলাম

কনফারেন্সে হাবের শীর্ষ নেতা সৈয়দ গোলাম সরওয়ার হাই-কমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। কর্মী নিয়োগ শুরু হলে যাতে দশ সিন্ডিকেটের মতো আর কোনো একতরফা জনশক্তি রফতানির সুযোগ না থাকে। তিনি মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে হাইকমিশনারকে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান।

হাই কমিশনার সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাবের সকল এজেন্সিকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।

Advertisement

উল্লেখ্য, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ রেখে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী ম্যানুফ্যাকচারিং, কনস্ট্রাকশন, এগ্রিকালচারসহ ৫টি খাতে বিপুলসংখ্যক কর্মী নেয়ার ঘোষণা দেয় দেশটি। তবে চুক্তির পরদিনই মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধ রাখে। কিছুদিন পরে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তির আলোকে শিগগিরই শুরু হচ্ছে শ্রমিক রফতানি।

এমআরএম/এমএস