কৃপণতা, কাপুরুষতা ও ইবাদতে অনিহা কোনো ব্যক্তির গুণ হতে পারে না। বরং যে ব্যক্তি কৃপণতা না করে সম্পদ দান করে, কাপুরুষতা না দেখিয়ৈ বরং আল্লাহর রাস্তায় যে কোনো বিষয়ে লড়তে পারে আবার ইবাদত থেকে বিরত না থেকে নিরলস ইবাদতে নিজেদের আত্মনিয়োগ করে তারাই প্রকৃত মুমিন।
Advertisement
একান্তই যে সব মুমিন দানের বেলায় কৃপণ, ইবাদতে অনাগ্রহী, অন্যায়ের মোকাবেলায় লড়তে অনিচ্ছুক; তাদের করণীয় কী? হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের জন্য নসিহত পেশ করেছেন। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি-
- রাত জেগে ইবাদত করতে অক্ষম হয়ে পড়ে;- কৃপণতার কারণে সম্পদ দান করতে পারে না;- কাপুরুষতার কারণে (ইসলামের) শত্রুর বিরুদ্ধে জেহাদ করতে অক্ষম হয়,- সে যেন বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার জিকির করে।‘
Advertisement
আরও পড়ুন > বিশ্বনবিকে কটাক্ষ করলেই জেল!
উল্লেখ্য যে, শুধু আল্লাহ আল্লাহ তাসবিহ-ই আল্লাহর জিকির নয়; বরং ইসলামের অন্যান্য নির্দেশ পালনে নিজেকে বেশি বেশি নিয়োজিত করে। তা হতে পারে এমন-
যদি রাত জেগে ইবাদতে অক্ষম হয় তবে সে দিনের বেলায় ফরজ নামাজ আদায়ের সময় নফল নামাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করবে বা অন্যান্য বিধানের প্রতি যত্নবান হবে।
এভাবে নিজেকে আল্লাহর বিধি-বিধান বাস্তবায়নে নিয়োজিত করার মাধ্যমে জিকির-আজকার করা জরুরি।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল পালন করার তাওফিক দান করুন। ইবাদতে অনিহা, কৃপণতা ও কাপুরুষতা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস